ঝিনাইদহ শৈলকুপায় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ঝুঁকি ও আতঙ্কে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। যেকোন সময় খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তার যার নিচে ক্লাস করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অথচ এই প্রতিষ্ঠানটি জন্ম লগ্ন থেকে শীর্ষ ফলাফল ধরে রেখেছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখ যায়, ভবনের ছাদে ফাটল বেরিয়ে পড়েছে রড। জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদানের সময় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। নারী শিক্ষা উন্নয়নে ১৯৬২ সালে উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবনেই দীর্ঘ কয়েকযুগ ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি না পেয়ে হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধি নাজনীন নাহার বলেন, এই বিদ্যালয়ে প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর একটি দোতলা ও আরেকটি একতলার উপর সিনসেড ভবন নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৪ সালে ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ একটি একতলা ভবণ নির্মাণ করে। বেশ কিছু বছর ধরে ভবনটির অবস্থাও খুবই নাজুক।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ ভবনটির পাশের ভবনে রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, শিক্ষক মিলনায়তন সেইসাথে জরাজৗর্ণ অবস্থায় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান ল্যাবসহ স্পোর্টস অফিস ও বিজ্ঞান বিভাগের পাঠদান কক্ষ, ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর বিভিন্ন পাঠদান কক্ষ। বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়তে পড়তে এখন রড বের হয়ে আছে। ক্লাস রুমের ইট সরে গিয়ে দেয়াল ফাঁকা হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশী হওয়ায় স্কুলের গুদাম ঘর ও টিনশেডে ক্লাশ চলছে । পাঠদান কক্ষে বাশের সাথে ফ্যান ঝুলানো রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার শামীম আহাম্মেদ খান বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টি জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। জীবনের ঝুকি সেইসাথে আবাসন সংকট নিয়ে শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাই এই বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এখন সময়ের দাবী।