ঝিনাইদহে পরীক্ষার হলে বসে ফেসবুকে লাইভ করা সেই ছাত্রলীগ নেতা মহিষ চুরি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্যোবিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দিনের করা চুরির মামলায় জামিনে আছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে শৈলকুপার হাটফাজিলপুর পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক তৌফিক আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২১ সালের ১৬ জুন রাতে নাসিরের বাড়ি থেকে দুটি মহিষ চুরি হয়। নাসির থানায় অভিযোগ জানালে গুড়পাড়া গ্রাম থেকে একটি ও কালীগঞ্জের চাচড়ার মো. সেলিমের বাড়ি থেকে আরেকটি মহিষ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এ সময় সেলিমকে আটক করে।
২৭ জুন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে নাসির কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে তিনি চুরির সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজনের সম্পৃক্ততার কথা জানান।
কোটচাঁদপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক সুমনসহ তিনজনকে পলাতক ও দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তৌফিক বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নামেই অভিযোগপত্র দিয়েছিলাম। মামলাটি এখন ঝিনাইদহ জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বিচারাধীন। আগামী ২৭ এপ্রিল মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারিত রয়েছে। সুমন এই মামলায় জামিনে আছেন।’
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘মহিষ চুরির বিষয়ে আমরা ওই সময় তদন্ত করেছিলাম। কমিটি তদন্ত করে তেমন কিছু পায়নি।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সুমনের মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
গত শুক্রবার দুপুরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কেন্দ্রে কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের পরীক্ষা চলার সময় ফেসবুকে লাইভ করেন সুমন। তার ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের লাইভ ভাইরাল হলে শুরু হয় সমালোচনা।
এ ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে ছাত্রলীগের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি।
খুলনা গেজেট/ এস আই