ভোজ্য তেলের সাথে লাফিয়ে বেড়েছে জ্বালনি তেলের দামও। এক লাফে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। শুধু তাই নয়, দফায় দফায় বেড়েছে গ্যাস, বিদ্যুৎ পানির দামও। এমতাবস্থায় সবমিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) প্রদত্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনাভোটে নির্বাচিত সরকারের জনগণের কাছে কোন জবাবদিহি নেই বলেই নিজেদের ইচ্ছা-খুশি মতো যা করার করছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে দেশের সাধারন মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, সেই সময়ে এই জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্যেকে আরও বৃদ্ধি করবে। ফলে দেশের সামগ্রীক অর্থনীতির উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হবে। টিসিবি’র পণ্যের দাম হঠাৎ বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
বিএনপি নেতারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ক্রমবর্ধমান অজুহাতে বুধবার নির্বাহী আদেশে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে। জ্বালানি তেলের বৃদ্ধি জনজীবনে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন ছড়াবে। জনগণের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা হবে, সে বিষয়ে নজর না দিয়ে বহুজাতিক গোষ্ঠীর নিয়োগকৃত গুটি কয়েক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত দেশের জন্য আত্মঘাতী। বিগত বেশ কিছুদিন ধরে আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশের বাজারে তার প্রতিফলন ঘটেনি। এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের গণশুনানি ব্যাতিরেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণাকে হতাশাজনক বলে অবিলম্বে এ ধরণের হটকারি সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ টি আই