আদালতের জামিনে মুক্ত হলেন দৈনিক মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষ্যে একটি টীকাকেন্দ্রে গনটীকা দেওয়ার সময় অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে মামলার শিকার হন তিনি। পুলিশ ওইদিনই তাকে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানায় দেওয়া মামলায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী টীকাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুজ্জামান সাংবাদিক ইয়ারব হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এই মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে ইয়ারব হোসেন সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন এবং তার সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে থাপ্পড় মেরেছেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার হন ইয়ারব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তার জামিন শুনানিকালে আইনজীবিরা বলেন, ইয়ারব হোসেন ২০১৩ সালে জামায়াতের সহিংস তান্ডবের সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। এর পর থেকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসাধীন হৃদরোগী ইয়ারব হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ২ লাখ টাকা দেন। আইনজীবিরা আরও বলেন, ইয়ারব হোসেন কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার একজন গুরুত্বপূর্ন স্বাক্ষী। তিনি বাংলাদেশে প্রথম গাছের পাঠশালা গড়ে তুলেছেন।
সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন ঘটনার দিন টীকাকেন্দ্রে বিশৃংখল অবস্থা দেখে এর প্রতিবাদ করেন। এসময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তার পক্ষে এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান, এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. তামিম হোসেন সোহাগ সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবি সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে তার জামিন প্রার্থনা করেন।
এসময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী এবং সিনিয়র সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জী, ইব্রাহিম খলিল সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষের শুনানী শেষে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তার জামিন মঞ্জুর করেন।
খুলনা গেজেট/এএ