জাতীয় পার্টির মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভুইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একবার লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়েছিল।
তার মরদেহ এখন হাসপাতালেই রাখা আছে। বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তার মরদেহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাখা হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৃথক বিবৃতিতে তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
গত বছরের জুলাই মাসে তিনি দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পান। এর আগে ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ দলটির চেয়ারম্যান থাকার সময় তিনি প্রথমবার মহসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জিয়াউদ্দিন বাবলু সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাশাসক হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত জিয়াউদ্দিন বাবলু শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, পোর্ট ও শিপিং প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রীসহ বিভিন্ন সরকারি দায়িত্ব পালন করেছেন।
আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, ডাকসু’র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মি. বাবলু। সেসময় দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও।
রাজনৈতিক জীবনে দুইবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই রাজনীতিবিদ। ১৯৮৮ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে এবং ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার চট্টগ্রাম -৯ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
২০১৩ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই/এনএম