খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে কখনই বেঈমানী করেননি’

জেলহত্যা ছিল পনেরই আগস্টের নৃশংস হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা : সিমিন হোসেন রিমি (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, “বাংলাদেশের স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। জাতীয় চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, আপোষহীন নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সাথে কখনই তাঁরা বেঈমানী করেননি।” তিনি আবেগজড়িত কন্ঠে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের শেষ রাতের এবং এরপর থেকে ৩ থেকে ৫ নভেম্বরের সেই শোকাবহ, দুর্বিসহ এবং ভয়াবহ দিনগুলোর স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকান্ড ছিলো পনেরই আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা। এরপর থেকে অনেক বছর পর্যন্ত এ দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার নাম মুখে নিতে পারতেন না। তাঁদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া, মিলাদ মাহফিল পর্যন্ত করা যেতো না।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে ‘জেলহত্যা দিবস : পিছনে ফিরে দেখা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের ৪র্থ তলায় সম্মেলন কক্ষে ওয়েবিনারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি নীল নকশায় নৃশংস পনেরই আগস্ট ও জেলহত্যা কান্ডের পর দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় যারা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো তাদের সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। ইতিহাস একদিনে সৃষ্টি হয় না, একদিনে ধ্বংসও হয় না, সময়মতোই জবাব দেয়। ঐ হত্যাকান্ডের পর বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, অগ্রগতির পথে রয়েছে। যতো ষড়যন্ত্রই হোক, বাঁধা আসুক সবকিছুকে অতিক্রম করে অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন জ্ঞানভিত্তিক ও যুক্তিনির্ভর দেশ গঠন এবং এ দেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র মুক্ত করতে পারলে সেটাই হবে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম স্বপ্ন পূরণ, তাঁদের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন। এ লক্ষ্যে যে যার অবস্থান থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংগ্রামে সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, সবচেয়ে বড় শত্রু বঙ্গবন্ধুর আশপাশে থাকার পরও তিনি ছিলেন অবিচল আত্মবিশ্বাসী। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উদারবাদী মানুষ। তিনি বলেন, খন্দকার মোশতাক মুজিবনগর সরকারে শপথ নেওয়ার পরও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সাথে যে যুক্ত সে সত্য আজ প্রমাণিত। মার্কিন দলিল পত্রে, বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকাশনায় তা উঠে এসেছে।

ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। উপ-উপাচার্য বলেন, মুক্তির আকাক্সক্ষায় উজ্জীবিত বাঙ্গালিকে স্বাধীনতার স্বাদ এনে দিয়েছিলেন যে মহানায়ক, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে আসে ৩ নভেম্বর। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার একাধিক প্রচেষ্টা করা হয়। ঘটনাগুলো বাংলার মাটিতে স্বাধীনাতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসরদের ছকে বাঁধা পরিকল্পনারই একটি অপরিহার্য অংশ ছিল। এ নির্মমতা, নৃশংসতার মধ্যদিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, চেতনা এবং মূলনীতিগুলো পদপিষ্ট হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক সমিতি এবং অফিসার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওয়েবিনারটি সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজে সম্প্রচার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ অনলাইনে যুক্ত হন। সূত্র : প্রেস রিলিজ।

ভিডিও দেখুনঃ 

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!