সাতক্ষীরার তিন কৃতি সন্তান পাচ্ছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। আগামীকাল ১১ মে ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়ালি) উপস্থিত থাকবেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় খেলোয়াড়, সংগঠকদের অবদানের স্বীকৃতিতে এ পদক প্রদান করা হবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতক্ষীরার তিন গুনিজন হলেন সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এর কৃতি সন্তান বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ জিমন্যাসটিকস ফেডারেশনের সভাপতি, সাতক্ষীরা চিংড়ি বাংলা ক্লাবের সভাপতি, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক শেখ বশির আহমেদ মামুন। পলাশপোল এর কৃতি সন্তান তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু যিনি রেফারী জগতে এক অনন্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন। আর একজন বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাবেক ভলিবল খেলোয়াড়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক কর্মকর্তা, আশাশুনির দর্গাপুরের কৃতিসন্তান শামীম আল মামুন।
কিংবদন্তি রেফারি তৈয়ব হাসান বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারী হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন (১০০+)। দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারী অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারীজ মোমেন্ডো অ্যাওয়ার্ড), এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারীর তালিকায় থাকা তৈয়ব প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারী হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়ানশীপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন।
খেলাধুলাকে ভালোবাসা এমন বিখ্যাত রেফারি তাঁর সুদীর্ঘ রেফারিং জীবনে প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারী হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন স্মরণীয় সেই “রেফারী জর্সিটি” ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে তিনি করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেন। করোনা দুর্যোগে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্ডিনোও স্বয়ং তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেন।
রেফারিং-এ অবদানের স্বীকৃতিতে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাব, ঢাকাসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই