জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, সাম্য, দ্রোহ ও প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন জাতীয় জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ। মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদাসোচ্চার। কবি মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার পক্ষে কলম ধরেছিলেন নির্ভীকচিত্তে। কবিতার পাশাপাশি বাংলা গানে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তিনিই প্রথম বাংলা গজলের প্রবর্তন করেন। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কবি নজরুল ইসলামের আজীবন সাধনা ছিলো সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং তাদের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন। অসামান্য ও বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী নজরুল ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবোধের মূর্ত প্রতীক। নতুন প্রজন্ম নজরুল চর্চার মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান ও আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কার্ত্তিক চন্দ্র মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল।
খুলনা গেজেট/ এসজেড