আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বলেছেন, আমি মনে করি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়াই করতে পারলে একটা আলাদা অনুভূতি হতো। যারা প্রতিপক্ষ সবাই শক্তশালী। কিন্তু এটা বাস্তব সত্য বিএনপিসহ যে জোট, সেই জোট নির্বাচনে আসলে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো। কিন্তু যারা আছে তাদের দিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ কিনা, সেই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আমরা বিশ্বাস করি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে এসএম কামাল হোসেনসহ খুলনার তিনটি আসনের ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষমান ও ৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, কোনো দল নির্বাচনে আসবে কি আসবে না এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আমরা সবাইকে আহ্বান করি। মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। জনগণের অংশগ্রহণ যদি হয় তাহলে আমরা মনে করি, আমাদের নেত্রী মনে করে এবং দেশবাসী, জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে মনে করবে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে ভোটকেন্দ্রে নেওয়া আমার এবং আমাদের সাথে দলের যে সমস্ত নেতৃবৃন্দ কাজ করছে, তাদের মূল চ্যালেঞ্জ। ভোটকে যাতে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, কেউ আমাদের ভেতরে ঢুকে নির্বাচনের দিনে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এমন কাজ না করতে পারে এটাও আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এ ব্যাপারেও সতর্ক থাকবো।
এবার কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা হবে না উল্লেখ করে এসএম কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচন প্রতিরোধের নামে যারা ষড়যন্ত্র করছে, জনগণ তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা যদি অতীতের মতো কোনো সন্ত্রাস করে জনগণই এবার তাদের প্রতিরোধ করবে। সব কিছুকে উপেক্ষা করে আমার বিশ্বাস গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশের জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাবে, উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট দেবে।
খুলনা গেজেট/এমএম