যশোরের চৌগাছায় বিপুল পরিমান নকল কীট ও ছত্রাক নাশক, মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানীর নকল প্যাকেটে কীট ও ছত্রাক নাশক প্যাকেজিং করার মালামাল উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় মনির হোসেন (৩৭) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান স্বনামধন্য কোম্পানীর প্যাকেটে নকল কীট ও ছত্রাক নাশক, নকল খালি প্যাকেট এবং প্যাকেজিং করার মেশিন জব্দ ও জরিমানা করেন চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী কাফী বিন কবির।
এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চৌগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাফরিন খাতুন, উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান, উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আশিকুর রহমান প্রমুখ তার সাথে ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক প্রকৌশলী কাফী বিন কবির বলেন, ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫০ ধারা ভঙ্গ করে নকল কীটনাশক প্যাকেজিং ও বাজারজাত করণের অপরাধ স্বীকার করে নেয়ায় তার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এসিআই কীটনাশক কোম্পানীর চৌগাছার ডিলার হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই কোম্পানীর নকল কীটনাশক বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছিল। মনির এটা করছিল জানতে পারলেও আমরা তাকে হাতে নাতে ধরতে পারছিলাম না। কারা এটি করছে এ নিয়ে আমরা নজর রাখছিলাম। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপাড়া থেকে নারায়নপুর ব্রিজ হয়ে নকল কেঁচো নাশক ব্রিফার ৫ জি ও ছত্রাক নাশক নাটিভো ৭৫ ডব্লিউ জি যাচ্ছে সংবাদ পেয়ে কোম্পানীর তিন মাঠ কর্মী টনিরাজ, মুন্না ও মুহিবুল ইষলাম আটক করেন। পরে উপজেলা কৃষি অফিসে সংবাদ দেয়া হয়। সেখানে নকল ২০০ কেজি ব্রিফার ৫ জি এবং ২০ পিচ নটিভা উদ্ধার হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ্বাস বলেন, কোম্পানীর প্রতিনিধিরা নকল কীটনাশক জব্দ করার ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে পাঠানো হয়। বিষয়টির সত্যতা পেয়ে পুলিশসহ মনিরের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখানে আরো নকল ব্রিফার-৫, নটিভাসহ অন্য অনুমোদনবিহীন কোম্পানীর কীটনাশক, মেয়াদউত্তীর্ণ একবস্তা বিভিন্ন কীটনাশক, সিনজেনটা কোম্পানীর গ্রোজিন ও থিয়োভিটের বিপুল পরিমান খালি নতুন প্যাকেট এবং এসব কীটনাশক প্যাকেজিং করার মেশিন উদ্ধার হয়।
এঘটনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রকৌশলী কাফী বিন কবিরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মনির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং উদ্ধার নকল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক, কীটনাশকের খালি মোড়ক এবং প্যাকেজিং করার দুটি মেশিন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, জব্দকৃত কীটনাশক ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখানে প্রমাণিত হলে সেগুলো ধ্বংস করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেএম