যশোরের চৌগাছায় পঁচা বাসি, ছয় মাস পূর্বে জবাই করা গরুর মাংস, চর্বি ও গরুর পায়া (পা) নোংরা ফ্রিজে রেখে বিক্রি করার অভিযোগে দুই মাংস ব্যবসায়ীকে দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে শহরের উপজেলা সড়কের মোবারক হোসেন ও মাসুদের মাংসের দোকানে অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা আদায় করেন আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা।
এসময় মাংস ব্যবসায়ীরা দোকানে কোনো ফ্রিজ রাখতে পারবে না বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালত পরিচালনাকালে দেখা যায় দীর্ঘদিনের পঁচা বাসি গরুর মাংস ফ্রিজে রাখা হয়েছে যা জমে যাওয়ায় অভিযানের সময়ও বের করা যায়নি। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন ফ্রিজে রক্ত ও ময়লার মধ্যে মাংস রাখা হয়েছে। যা একেবারে রংহীন হয়ে যাওয়ায় রং করার জন্য রং রাখা হয়েছে। পচা ও দীর্ঘদিনের গোশত এবং খুরাসহ পায়া (গরুর পা), চর্বি সবকিছুই একসাথে রাখা হয়েছে। সড়কের পাশে মাংস বিক্রি করা হলেও মাংস ঢেকে রাখার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। পরে ওই দুই দোকানিকে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় দোকানিদের ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করা হয় এবং দোকানে ফ্রিজ রাখা যাবেনা মর্মে নির্দেশনা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, দীর্ঘদিনের পচা বাসি গরুর মাংস ফ্রিজে রাখা, পায়া ও চর্বি বিক্রি, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সংরক্ষণ এবং রং করে তাজা মাংস বলে বিক্রির অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে উভয় দোকানিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের ভবিষ্যতের জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করে দোকানে কোনো ফ্রিজ ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচআরডি