যশোরের চৌগাছা উপজেলার ১৩ আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী মঙ্গলবার রাতে সভার মাধ্যমে তাদেরকে বহিষ্কার করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী।
এদিকে, বহিষ্কারের পর নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন জগদীশপুর ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী তবিবর রহমান খান। এর আগে তিনি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থীকে পাশে বাসিয়ে নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
আগামী ১১ নভেম্বর চৌগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ফুলসারা ইউনিয়নে মেহেদী মাসুদ চৌধুরী ও চৌগাছা সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার আবুল কাশেম বিনা প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় নির্বাচিত হন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন, উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের আবদুল মতলেব হোসেন, শাহিনুর রহমান শাহীন, সিংঝুলি ইউনিয়নের ইব্রাহিম খলিল বাদল ও হামিদ মল্লিক, ধুলিয়ানী ইউনিয়নের এসএম মমিনুর রহমান ও আলাউদ্দিন, জগদীশপুর ইউনিয়নের সিরাজুল ইসলাম মাস্টার ও আজাদুর রহমান খান, স্বরুপদহ ইউনিয়নের শেখ আনোয়ার হোসেন, নুরুল কদর ও রফিকুল ইসলাম খোকন, নারায়ণপুর ইউনিয়নের আবু হেনা মোস্তফা কামাল বিদ্যুৎ ও সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম মাস্টার।
বহিষ্কারের চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র ৪৭ এর ১১ ধারা মোতাবেক জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার হবে। ওই ধারা মোতাবেক চৌগাছা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কার করা হলো। একই সাথে দল থেকে বহিষ্কৃতদের সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম না করার জন্য নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই