চুকনগরে পশ্চিমপাড়ার রাস্তাটি দীর্ঘ ৩৬বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় মানুষের চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্তমানে একাধিক স্থান হতে রাস্তাটির ইটের সোলিং উঠে গিয়েছে। আবার অনেক জায়গা থেকে ইটসহ রাস্তার অংশ দুইপাশে ভেঙ্গে পড়েছে। এদিকে সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে বিল্ডিং নির্মাণ করে বসে আছে একাধিক ব্যক্তি। এই সব কারণে বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর পশ্চিমপাড়ায় যাওয়ার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মহিউদ্দীনের বাড়ি হতে দলিত হাসপাতাল অভিমুখী আব্দুর রাজ্জাক মোড়লের দোকান পর্যন্ত রাস্তাটির উপর ১৯৮৪ সালে ইটের সোলিং দেয়া হয়। সে সময় ওই গ্রামের মৃত জিন্দার আলী শেখ, মৃত আক্কাজ মোড়ল, মৃত গহর মোড়ল, মৃত শরিতুল্ল্যাহ গাজী, মৃত মফেজ মোড়ল, মৃত সামছুর রহমান মোড়ল মিলে তৎকালীন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালে সে সময়ের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এএইচ এম আব্দুল গফফারের কাছে যান। তখন মন্ত্রী ওই ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তাটি ইটের সোলিং করে দেন। সেই থেকে অদ্যবধি কেউ রাস্তাটি মেরামত বা সংস্কার করেনি। এ কারণে বর্তমানে এ রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলে একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এদিকে এলাকার একাধিক ব্যক্তি রাস্তার দুই পাশ দিয়ে সরকারি জমি দখল করে কাঁচা ও পাঁকা ভবন তৈরি করে বসে আসেন। এলাকাবাসীর দাবি সরকারি জমি উদ্ধারপূর্বক রাস্তাটি সংস্কার করে না দিলে মানুষের রাস্তা চলাচল একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
খুলনা্ গেজেট/এনএম