বিপদ পিছু ছাড়ছে না খুলনার প্রান্তিক কৃষকের। মহামারী করোনার পর ইয়াসের আঘাতে কোমর ভেঙ্গেছে খুলনার কৃষকের। জাওয়াদের প্রভাবে জেলার ১০ হাজার কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনদিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় পাকা আমন ধানের বড় একটি অংশ মাঠে ঝরে পড়েছে। বৃষ্টির পরশ পেয়ে আমনের চারা গজিয়েছে। সব মিলিয়ে ছয় কোটি ৮৪ হাজার টাকার অর্থকারী ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
করোনা মহামারীতে পরিবহন সংকটে বোরে হাটে নিতে পারেনি জেলার কৃষক। ৮০ হাজার কৃষক কমবেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ন্যায্য মূল্যও পায়নি। এ বছরের বড় একটি সময় অনাবৃষ্টির কারণে গ্রীষ্মকালীন সবজি ও তিলের কাংখিত উৎপাদন হয়নি। চিচিংগা ও ঢেড়শের উৎপাদন ভাল হয়নি। করোনার ধাক্কার পর ১৬ মে ইয়াসের বড় ধাক্কায় ভেসেছে পাইকগাছা ও কয়রার কৃষক। গত ৪-৬ ডিসেম্বর জাওয়াদের প্রভাবে অতিবৃষ্টির কারণে পাকা আমন ধানের বড় একটি অংশ মাঠে ঝরে পড়ে পড়েছে। এক হাজার ২৪৮ হেক্টর জমির পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাঁচ শতাংশ বোরো বীজ তলায় জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শীতের সবজি ৫০ শতাংশ বিনষ্ট হয়েছে। এক শতাংশ সরিষা মাটিতে ঝরে পড়েছে। এ তথ্য কৃষি সম্পসারণ বিভাগের।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মহাদেব চন্দ্র সাহা জানান, আমন কাটার মুহুর্তে জাওয়াদের ধাক্কায় বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। শেষ মুহুর্তে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা কৃষকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ক্ষতি কাটাতে রোরো আবাদে নজর দেওয়ার জন্য কৃষককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে রূপসা, বটিয়াঘাটা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রায় কমবেশী ক্ষতি হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মোছাদ্দেক হোসেন জানান, আমনের ক্ষতি বেশী হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে রোরো বীজতলা ডুবলেও কৃষক দ্রুত পানি নিস্কাশন করেছে। সব ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে উপজেলায় এবার ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরে উৎপাদনে বাম্পার ফলনের মধ্য দিয়ে।
খুলনা গেজেট/এনএম