দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদের খুশি। জামা কাপড় কেনা শেষ পর্যায়ে। এখন বাকি শুধু কসমেটিক্স আর গয়না। ক্রেতারা তাদের পোষাকের সাথে মিল করে দোকান দোকান ঘুরে কিনছেন গয়না আর কসমেটিক্স। ক্রেতাদের সামাল দিতে দোকানিদের রীতিমতো হিমশিম খেতে দেখা গেলেও মিডিয়া কর্মীদের দেখে বদলে যাচ্ছে তাদের সুর।
চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, আর সেই সাথে রয়েছে তীব্র দাবদাহ। এরই মধ্যে মার্কেটগুলোতে চলেছে কেনাকাটার ধুম। মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম দেখা যায়নি । সামাজিক দুরত্ব মানার যেন সুযোগ নেই !
অনেকেরই কেনাকাটা শেষ। ক্রেতারা জানান, জামা কাপড় কেনা শেষ, এখন বাকী শুধু গয়না আর কসমেটিক্স।
মারিয়া নাহিদ, বাগেরহাট থেকে এসেছেন কসমেটিক্স আর গয়না কিনতে। বড়বাজার জিকে এন্টারপ্রাইজে কথা হলে তিনি জানান, রোজার প্রথম থেকে যে গরম পড়েছে আগে ভাগে বাচ্চা ও পরিবারের সকলের জন্য কাপড় ক্রয় করেছিলেন বলে রক্ষা পেয়েছেন। এখন তিনি নিজের জন্য গয়না ও কসমেটিক্স ক্রয় করবেন। মার্কেটের পরিবেশ দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব নেই বললেই চলে। তিনি তড়িঘড়ি করে নিজের জন্য ইমিটেশনের কানের দুল, গলার হার ও নাকের নোলক, সেই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য লিপস্টিক, ফেসপাউডার, আইলাইনার, নেইল পলিশ সহ অন্যান্য সামগ্রী কিনেছেন।
অপরদিকে রূপসাঘাটে অস্থায়ী দোকানে কথা হয় কাজদিয়া থেকে আসা মর্জিনা বেগমের সাথে। তিনি জানান, বাড়িতে তার ছেলে বউ ও নাতনিরা রয়েছে। তাদের জন্য চুড়ি, আলতা ও মেহেদী ক্রয় করেছেন।
বড়বাজারের জিকে এন্টারপ্রাইজের মালিক জাগাঙ্গীর আলম জানান, গত বছর ঈদে তেমন ব্যবসা করতে পারেনি, ভেবেছিলেন এবার সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন। কিন্তু তা হয়নি বরং এ বছরটা যেন তার গলার কাটার মতো মনে হচ্ছে। কী দিয়ে কী করবেন তা ভেবে পারছেন না।
খুলনা গেজেট/ এস আই