‘‘শেখ হাসিনার বারতা ,নারী-পুরুষ সমতা। নারী-পুরুষ সমতায় তথ্য আপা পথ দেখায়” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’র আওতায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা (যিনি ‘তথ্য আপা’ নামে পরিচিত) সাঈদা খাতুন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন উপজেলাধীন ৬ টি ইউনিয়নের ৫৪ টি ওয়ার্ডে। করছেন উঠান বৈঠক। এছাড়া উপজেলা তথ্য কেন্দ্র থেকেও মহিলাদের প্রতিনিয়ত সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
এর মাধ্যমে গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশ অধিকার এবং তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে অবদান রাখছেন। উপজেলা তথ্য, কেন্দ্রে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, উপজেলার সরকারি সেবা সমূহের সহজলভ্যতা নিশ্চিতকরন, ভিডিও কনফারেন্স, ই-লার্নিং, ই-কমার্স ইত্যাদি কার্যক্রম সম্পাদন করছেন।
ল্যাপটপ ব্যবহারের মাধ্যমে উপজেলাধীন বিভিন্ন গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, ব্যবসা, জেন্ডার এবং কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেবা প্রদান করছেন।
তথ্যকেন্দ্রের সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে উপজেলাধীন উপকারভোগীগণকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্সিং ইত্যাদি সেবা প্রদান করছেন। এছাড়া চাকরির খবর, বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল, সরকারি বিভিন্ন সেবাসমূহের সহজলভ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য বিনামূল্যে তথ্য সরবরাহ করছেন।
তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ‘তথ্য আপা’ সাঈদা খাতুন তথ্য সেবা প্রদানের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদের জন্য উঠান বৈঠক আয়োজন করে গ্রামীণ তৃণমূল মহিলাদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করে চলেছেন। প্রতিটি উঠান বৈঠকে মহিলা অংশগ্রহণ করছেন। মাসে প্রতিটি তথ্যকেন্দ্রে ২ টি করে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গ্রামীণ মহিলাদের জীবন ও জীবিকা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় যেমনঃ স্বাস্থ্যগত সমস্যা, বাল্যবিবাহ, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, চাকরি সংক্রান্ত তথ্য, আইনগত সমস্যা এবং ডিজিটাল সেবা সমূহের নানাদিক ( ই-মেইল, ভিডিও কনফারেন্স) সম্পর্কে অবহিত করাচ্ছেন।
সরকার কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প-২০২১, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রায় নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী।অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন দেশের সার্বিক অগ্রগতি অন্যতম শর্ত। নারীর ক্ষমতায়নে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশের গ্রামের অসহায় দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত কিংবা কম সুবিধাপ্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা প্রদান নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে ত্বরান্বিত করবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছেন দিঘলিয়া উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তাসহ সারা দেশে প্রকল্প এলাকার তথ্য সেবা কর্মকর্তাগণ। এ লক্ষ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘তথ্য আপা : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গৃহীত হয়।
খুলনা গেজেট/ টি আই