আবারও বেড়েছে গ্যাসের দাম। যার খুচরা মূল্য এখন সাড়ে ১২শ’ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হওয়াতে ব্যবসায়ীরা এ মূল্যে বিক্রি করছেন। আবার ব্যবসায়ীরা আগাম মূল্য বৃদ্ধির খবর জেনে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য পুরোনো দরে অধিক মাল ক্রয় করে বেশি দরে বিক্রি করছেন বলে অভিযাগ করেছেন ক্রেতারা। এ নিয়ে গ্যাসের মূল্য এ বছর সাত দফা বৃদ্ধি পেয়েছে।
নগরীর কয়েকটি দোকান ঘুরে জানা গেছে, বিভিন্ন কোম্পানীর ১২ কেজি ওজনের প্রতিটি বোতল সিলিন্ডার এখন সাড়ে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত এক সপ্তাহ আগে এক হাজার ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে এত চড়া মূল্যে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর মডার্ণ ফার্নিচার মোড়ের ক্লিনহীট কোম্পানীর ডিলার মোঃ বাপ্পী হোসেন জানান, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বোতলে পাইকারী পর্যায়ে ১৪০ টাকা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ আগে তিনি ১০৪০ টাকায় ১২ কেজি ওজনের প্রতিটি গ্যাসের বোতল বিক্রি করেছেন সেখানে আজ তাকে ১১৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা সেটি সাড়ে ১২ টাকায় বিক্রি করবে।
দোলখোলা ইসলামপুর মসজিদ মোড় যমুনা গ্যাসের ডিলার মোঃ আনিস শেখ জানান, গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে গ্যাস প্লান্টে কর্মচারী পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে প্রচুর ভিড় হওয়ার কারণে তিনি সেখান থেকে গ্যাস আনতে পারেননি। যা পেয়েছেন তা তার প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দাম বেড়েছে তবে এখনও জানেন না কত বেড়েছে। তিনিও বাজার দরে গ্যাস বিক্রি করছেন। তার দোকানে ১২ কেজি ওজনের প্রতিটি বোতল এখন সাড়ে ১২শ’ টাকা।
নগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ জিয়াউস সাদাত জানান, গ্যাসের দাম বেড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে তিনি বেশী দামে বিক্রি করছেন না বলে জানিয়েছেন।
অপরদিকে টুটপাড়া গ্যাস ব্যবসায়ী কাদের জানান, নগরীর কয়েকটি ডিলার গ্যাস বৃদ্ধির আগাম সংবাদ শুনে কম দামে অনেক গ্যাস তুলেছেন। গত দু’দিন ধরে তারা অনেক দামে বিক্রি করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
অপরদিকে বসুন্ধরা গ্যাস কোম্পনীর খুলনা এরিয়া ম্যানেজার মোঃ গিয়াস উদ্দিন রাসেল জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বেড়েছে। ১২ কেজির বোতলে ৫০ থেকে ১শ’ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে খুচরা দোকানে যেভাবে বিক্রি হচ্ছে সেভাবে বাড়েনি। আগামী রোববার থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শ্যামল রায়। নগরীর টুটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর বড় বাজারে একটি পলিথিনের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। সকালে মডার্ণ ফার্নিচার মোড়ে একটি গ্যাসের দোকানে গ্যাস ক্রয় করতে এসে হতবাক তিনি। স্বল্প আয়ে সংসার চলে না তার। চার জনের সংসারে গ্যাসের জন্য বাড়তি আরও ১৩০ টাকা বেশী খরচ করতে হবে ভেবে তিনি খুব চিন্তিত।
খুলনা গেজেট/এনএম