ফিলিস্তিনের গাজায় একটি বিদ্যালয়ে শনিবার (১০ আগস্ট) ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আক্রান্ত স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেখানেই ইসরায়েল বাহিনী দুই হাজার পাউন্ডের (একেকটি) অন্তত তিনটি বোমা ফেলে। স্থানীয় এক হাসপাতালের পরিচালক বিবিসিকে জানান, হামলায় ওই ভবনে ৭০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন।
হামলা প্রসঙ্গে কমলা হ্যারিস বলেন, ‘গাজায় আরেকবার অনেক বেসামরিক লোকের প্রাণহানি ঘটল।’ এ সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও জিম্মি মুক্তি বিষয়ে চুক্তি সইয়ের আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। অ্যারিজোনার ফিনিক্সে একটি নির্বাচনী প্রচারে কমলা হ্যারিস বলেন, হামাসকে মোকাবিলা করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে, কিন্তু বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানি এড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়দায়িত্বও আছে তার।
বিদ্যালয়ে ওই হামলার সমালোচনা করেছে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ ও আঞ্চলিক শক্তি। মিসর বলেছে, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল এটিই দেখাল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা বা যুদ্ধ অবসানে তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, হামলার শিকার আল–তাবাইন বিদ্যালয় হামাস ও ইসলামিক জিহাদের স্থাপনা হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে। হামাস এ হামলাকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘ভয়ানক অপরাধ ও বিপজ্জনক উত্তেজনা সৃষ্টি’ বলে মন্তব্য করেছে।
আল–আহলি হাসপাতালের প্রধান ফদল নাইম জানান, হামলার পর অনেককে তাদের এ হাসপাতালে আনা হয়। এতে ৭০ জনের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন। আরও অনেকে এমনভাবে আহত হয়েছেন যে তাদের শনাক্ত করাই কঠিন।
খুলনা গেজেট/এএজে