যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মুন্সি খানপুর গ্রামের গৃহবধূর গর্ভের সন্তান হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। নেহালপুর গ্রামের ইকরাম হোসেনের মেয়ে জিমি আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলো, মুন্সি খানপুর গ্রামের তার স্বামী সবুজ হোসেন, শ্বশুর রুহুল আমিন ও শাশুড়ি পরভীন বেগম।
বাদীর দায়ের করা মামলার এজাহারে জানা গেছে, ৭ মাস আগে আসামি সবুজ হোসেন জোরপূর্বক বিয়ে করে জিমি আক্তারকে। এরপর থেকে জিমি তার স্বামীর বাড়িতে সংসার করতে থাকে। এরমধ্যে জিমি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি তার স্বামী-শ্বশুর ও শাশুড়ি জানতে পেরে গর্ভের সন্তান নষ্টের কথা বলে। কিন্তু জিমি এতে রাজি না হওয়ায় স্বামী সবুজ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
১৭ অক্টোবর বিকেলে আসামিরা তার হাত-পা চেপে ধরে একটি ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর থেকে জিমির পেটে ব্যথা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরেরদিন সকালে সবুজ মোটরসাইকেলেযোগে জিমিকে তার মামার বাড়ির কাছাকাছি নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এরপর গত ২০ অক্টোবর মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে আলট্রাসনো রিপোর্টে তার ১২ সপ্তাহের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়। এ কারণে বুধবার তিনি স্বামীসহ ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।