গরীবের বাজারে ১০ টাকায় তেল হয় না। ন্যূনতম পরিমাণ কিনতে এখন ২০ টাকা লাগে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
গত চার মাস ধরে তেলের দামে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর ১০ টাকায় সয়াবিন তেল বিক্রি হয় না। নিতে হয় কমপক্ষে ২০ টাকার। পরিমাণ না বাড়লেও বেড়েছে দাম।
সোহেলী আক্তার রিয়া, টুটপাড়া মওলার বাড়ির পশে রাজা মিয়ার বস্তিতে বসবাস। গৃহপরিচারিকার কাজ করেন তিনি। আজ শুক্রবার গৃহকর্তা বাড়ি না থাকার সুযোগে কাঁচা বাজারে আসেন। উদ্দেশ্য পরিবারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করা। রোজ কাজ সেরে বাসায় ফিরতে বিকেল সাড়ে পাঁচটা বেজে যায়। তখন আর রান্না করার মন মানসিকতা থাকে না। বাসা বাড়ি থেকে যে খাবার দেয় তা দিয়ে রাতের খাবার বেশ ভালই চলে যায়।
তাড়াহুড়ার মধ্যে এক শ’ টাকার বাজার সারলেন তিনি। সবজি ২০ টাকার, ১০ টাকার টমটো, ১০ টাকার এক পুটলি মোটা দানার মসুর ডাল, ১০ টাকার সিম, আধা কেজি পরিমাণ চাল ও কুড়ি টাকার তেল।
তেল কেনার সময় সোহেলী আক্তার রিয়া বলেন, আগে বাজারে ১০ টাকার তেল পাওয়া যেত। এখন সে তেল ২০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়। শুধু তেলের দাম নয়, দু’ বেলা খাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন সবকিছুরই দাম বেড়েছে। করোনার চেয়ে অনেক কষ্টে আছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুধু রিয়া নয়, ওই বাজারে কথা হয় সামাদ মিয়ার সাথে। পেশায় তিনি একজন রিক্সা চালক। তিনি বলেন, চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু বাড়েনি আয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধিতে সংসার চালাতে গিয়ে তার নাভিশ্বাস উঠেছে। জিনিষের দাম না কমলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ না খেয়ে মরার উপক্রম হবে।
ওই বাজারের একজন দোকানদার শহীদ বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। গত চার মাস ধরে তেলের বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। প্রতিকেজি খোলা তেলের দাম ১৯০ টাকা। তাই ২০ টাকার নিচে তেল বিক্রি করতে গেলে তার অনেক লস হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই