শিথিল হয়েছে কঠোর লকডাউন। চলছে গণপরিবহন। প্রথম দিনে খুলনায় অনেকে মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। নেই সামাজিক দূরত্ব।
বুধবার (১৪ জুলাই) রাতে হানিফ, ঈগল, বনফুল, টুঙ্গিপাড়াসহ কয়েকটি বাস খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেখানে যাত্রীদের উপস্থিতি ছিল বেশ। সকালেও যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবহন। ২৩ দিন পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে।
সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দুইটি ছিটে একজন যাত্রী নিয়ে পরিবহন চলবে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে এর বাস্তব চিত্র ভিন্ন দেখা গেছে। পাশাপাশি বসানো হচ্ছে যাত্রীদের। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে যাত্রীদের চাপ।
নগরীর রয়্যাল মোড়ে ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার দারা জানান, বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে চারটি পরিবহন ছেড়েছে। যাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশ। আজ সকালেও তিনটি এবং দুপুরে আরও দুইটি গাড়ি ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে তিনি স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বললেও সেখানে এটা মানা হচ্ছে না বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
শান্তুনু ঘোষ ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি জানান, রাতে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসস্ট্যান্ড থেকে নিয়ম বজায় রেখে যাত্রা শুরুর কিছু দূরে গিয়ে যাত্রী তুলতে থাকে। যাত্রীদের কাছ থেকে ডবল ভাড়া নিলেও নিয়ম মানছেন না তারা।
অপরদিকে, ‘আল্লাহ মহান’ নামে সাতক্ষীরাগামী একটি পরিবহনের একই অবস্থা। পাশাপাশি বসানো হচ্ছে যাত্রীদের, যাদের অধিকাংশের মুখে কোন মাস্ক ছিল না।
ওই গাড়ির চালক আঃ জলিলের কাছে মাস্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। গাড়িতে ওঠার আগে তাদের বলা হয়েছে মাস্ক ছাড়া কেউ উঠবেন না। কিন্তু প্রবেশ করে তার উল্টাটা করছে।
খুলনা গেজেট/এনএম