খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১০ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  পিরোজপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে শিশুসহ ৮ জন নিহত
‘কালো বাজারে বিক্রি হলে ডিলারশীপ বাতিল’

খুলনায় ১০ টাকার চাল আগামী মাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলায় ৮৩ হাজার ৯শ’ ৪৪ পরিবার এ সুবিধা পাবে। নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকার তিন মাসের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের মানুষদের খাদ্য সহায়তার জন্য খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। জন প্রতি প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় জেলায় ৮৩ হাজার ৯শ’ ৪৪ পরিবার এ সুবিধা পাবে। এরমধ্যে দাকোপ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৯৫, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫৬, পাইকগাছা উপজেলায় ১৩ হাজার ১২৩, তেরখাদা উপজেলায় ৪ হাজার ৫২০, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০ হাজার ৫০৪, ফুলতলা উপজেলায় ৪ হাজার ৮৪, কয়রা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫৯, রূপসা উপজেলায় ১০ হাজার ২৮৮ ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৫ পরিবার। জেলার ১৭৩ জন ডিলার ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাল বিক্রি করবে। আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রতিমাসে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মধ্যে ২ হাজার ৫১৮ মেট্রিকটন চাল বিক্রি হবে।

এ বছরে মার্চ-এপ্রিল মাসে উল্লিখিত পরিমাণ কার্ডধারীদের মধ্যে ১২ হাজার ৫৮৭ মেট্রিকটন চাল বিক্রি করা হয়।

জেলার দুটি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ও উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গুদামে ৫৪ হাজার ৬৮০ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে। মজুদকৃত চালের মধ্যে ১৬ হাজার ৪১৮ মেট্রিকটন ভারত থেকে আমদানি করা।

জেলা খাদ্য অফিসের সূত্র জানায়, বুধবার মহানগরীর বাজারগুলোতে মোটা চাল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮-৫০ টাকা, চিকন চাল ৫৬-৫৮ টাকা, উপজেলা পর্যায়ে মোটা চাল ৪১ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি চাল ৪৬-৪৮ টাকা এবং চিকন চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকার তিন মাসের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে। এ চাল কালো বাজারে বিক্রি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন জানান, এ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের জন্য নতুন কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে। সুষ্টুভাবে বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহে ৫দিন এ সুবিধা পাবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজিত কুমার মুখার্জি বলেন, উপজেলা খাদ্য গুদামে মজুদ সংকট হলে জেলা খাদ্য অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অথবা পার্শ্ববর্তী গুদাম থেকে ডিলারদের চাল সংগ্রহ করতে হবে। এ চাল কালো বাজারে বিক্রি করা হলে ডিলারশীপ বাতিল হবে। আমন ওঠার আগ পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ এ সুবিধা পাবে।

খুলনা গেজেট/ টি আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!