খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ
  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার
‘বৃষ্টি হলেই পানির সমস্যা মিটবে’

খুলনায় সেচ সমস্যায় বিপর্যস্ত তরমুজ চাষীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনায় সেচ সমস্যায় বিপর্যস্ত কৃষিখাতের সম্ভাবনাময় তরমুজ চাষ। ফলে এবছর তরমুজের আশানুরূপ উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চাষীরা।

জানা যায়, জেলার ৬ উপজেলার পাঁচ হাজারের অধিক তরমুজ চাষি রয়েছেন সেচ সমস্যায়। এ সমস্যা সমাধানে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে স্থানীয় খাল-নদীগুলো পুন:খনন এবং গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সংশ্লিষ্ট চাষীরা।

এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটার চাষী জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, পানি সেচ নিয়ে সমস্যা রয়েছে। আমরা পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছি না জমিতে। রূপসা উপজেলার মোঃ ফারুক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ফসল ভালো হলেও পানির সংকট রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় এ বছর প্রায় ৭ হাজার ৩০৯ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। জেলার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, রূপসা, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় এ বছর তরমুজ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। গত বছর দাকোপে ১ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছিল। এবার সেখানে ৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। জেলার মোট উৎপাদিত তরমুজের ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ দাকোপ উপজেলায় উৎপাদিত হয়। একইভাবে বটিয়াঘাটায় চলতি মৌসুমে ২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। এছাড়া কয়রায় ৬৫০ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ২৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যা গত বছর ছিল মাত্র ৩ হাজার ৮০ হেক্টর জমি।

গত এক দশকের মধ্যে ২০১৪ সালে জেলায় সবচেয়ে বেশী ৩ হাজার ৪৬৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ হয়েছিল। তবে সেবার ফসল তোলার সময় বৃষ্টি ও খারাপ যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষকেরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ে। ফলে ২০১৫ সালে তরমুজের আবাদ আগের বছরের তুলনায় কমে ছয় ভাগের এক ভাগে এসে দাড়ায়। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে তরমুজের আবাদ আবার বাড়তে থাকে। গত বছর প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার টন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছিল।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: হাফিজুর রহমান বলেন, গত বছর তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন চাষীরা। এ বছর দীর্ঘসময় বৃষ্টি না থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় পানির উৎস খাল-নদীগুলো অবৈধ দখল ও ভরাট হওয়ায় শুকিয়ে সেচের পানির অভাব দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেই পানির সমস্যা মিটবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!