সরকারের বেধে দেওয়া আলুর দাম এখন আর নেই। খুলনার পাইকারি মোকাম কদমতলা, ট্রাক টার্মিনাল কাঁচা বাজার ও দৌলতপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত নেই। ভোক্তা অধিকারের পর্যবেক্ষণ ও নজরদারী নেই। বাজার কর্মকর্তার প্রতিনিধিরা সপ্তাহে একবার বাজারমূল্য তদারকি করে। আলু এখন আর আলোচনায় নেই। আজ প্রতিকেজি আলু প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে ১০ টাকা থেকে ১৩ টাকা দরে বিক্রি হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর নতুন বাজার ও শেখপাড়া বাজারে প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
গত নভেস্বর-ডিসেম্বর মাসে গণমাধ্যমে প্রায় শিরোনাম ছিল আলুর বাজার। সরকার বাধ্য হয়ে প্রতি কেজি আলুর ৩০ টাকা দাম বেধে দেয়। খুলনার মোকামে এক সপ্তাহ ধরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। দাম বেধে দেওয়ার পর ভোক্তা অধিকারও সরব হয়।
গত ১৫ ডিসেম্বর জেলা বাজার কর্মকর্তা এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন নতুন আলু প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা দরে এবং পুরাতন আলু ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। গত ১৯ ডিসেম্বর রূপসা কাচা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। নতুন বাজারের ব্যবসায়ী শরিফুল আলম জানান, দাম বেড়ে যাওয়ায় আলু বিক্রি ৫০ শতাংশ কমেছে। একই বাজারের ক্রেতা লুৎফর রহমান জানান, তিনি সপ্তাহে তার পরিবারের জন্য আধা কেজি করে আলু কেনেন।
কদমতলার পাইকারি ব্যবসায়ী জবেদ আলী এন্ড কোম্পানীর ম্যানেজার গিয়াস কামাল জানান, গত এক সপ্তাহে উত্তরাঞ্চল ও যশোরের গদখালী থেকে এক হাজার বস্তা আলু এসেছে। হঠাৎ আমদানীর পরিমান অনেক বেশি। তিনি জানান, আলু প্রতি কেজি প্রকারভেদে ১০ থেকে ১৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শেখপাড়া বাজারের ক্ষুদে ব্যবসায়ী খোকন সরদার জানান, আলুর বাজারে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে এসেছে। ক্রেতারা প্রতিদিন এক দুই কেজি করে আলু কিনছেন। বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে।
শেখপাড়া জনতা ব্যাংক গলির বাসিন্দা ক্রেতা শাহানা আক্তার লিপি জানান, তিনিও আজ ২ কেজি আলু কিনেছেন। আগামী সপ্তাহে আলু কেনার পরিমাণ বাড়বে বলে তিনি দাবি করেন। ১৬ টাকা দরে আজ দু’কেজি আলু কিনেছেন তিনি।
নগরীর বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায় মাইকিং করে ভ্যান যোগে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা ৬ কেজি একশ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন। আমদানি বাড়ায় দাম আরও কমবে বলে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা জানান।
খুলনা গেজেট/ টি আই