করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলছে খুলনায় কঠোর লকডাউন। জারি করা হয়েছে কিছু বিধি-নিষেধ। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাড়া মহল্লায় খোলা হচ্ছে চায়ের দোকান। আর সেখানে জম্পেস আড্ডা হচ্ছে সব বয়সী মানুষের। শুক্রবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় চায়ের দোকানের জমজমাট আড্ডার এ চিত্র।
দোলখোলা মোড়ের চায়ের দোকানি গিয়াস খুলনা গেজেটকে জানান, চায়ের দোকান ছাড়া আর কোন ব্যবসা নেই। এটা না থাকলে বাল-বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। কর্ম ব্যস্ততায় এই এলাকার মানুষ দিন পার করে। সন্ধ্যা হলে তারা চা পান করতে আসে। তখন একটু ভিড় হয়। যেখানে স্বাস্থ্যবিধির লেশমাত্র নেই।
মিয়াপাড়া পাইপের মোড়ের মোস্তফা হাওলাদার জানান, সারাদিন দোকান বন্ধ থাকে। সন্ধ্যার পর খোলা হয়। এ সময় সব বয়সের মানুষেরা চা খাওয়ার জন্য ভিড় করতে থাকে তার দোকানে। অস্থায়ী এ চায়ের দোকানে অধিকাংশের মুখে মাক্স দেখা যায়নি।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে চা পানরত অবস্থায় দিন মজুর মোস্তাফিজ জানান, “সারাদিন কাজ করে কুল পাইনে। তাই সন্ধ্যার পর একটু চা পান করতে বাজারে আসি।” তিনি বলেন, “আমরা গরীব মানুষ। ভরসা একমাত্র আল্লাহ। আমাদের করোনা হবেনা।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খুলনা থানার কর্তব্যরত পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক জানান, চায়ের দোকান বন্ধ করতে গিয়ে তারা ক্লান্ত। যেখানে খোলা পাচ্ছি সেখানে একশনে যাচ্ছি। বেশ কিছু চা দোকানিকে থানায় নিয়ে মুচলেকার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।