খুলনায় ১২ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার আসামি হোমিও চিকিৎসক সঞ্জয় শীলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানাধীন গাইয়াখালি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৬ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন সুখদাড়া গ্রামে এক হোমিও হাতুড়ে চিকিৎসক চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে এক নাবালিকা মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১২) অচেতন করে ধর্ষণের করে। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় এজাহার দায়ের করলে বটিয়াঘাটা থানার মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বিকাল পৌনে চারটার দিকে আসামি হোমিও চিকিৎসক সঞ্জয় শীলের নিকট ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার মা চিকিৎসা সেবা নিতেন। চিকিৎসক মাঝে মাঝে চিকিৎসা দিতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এরই সূত্র ধরে চিকিৎসক ওষুধ দিতে গিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীকে একা পেয়ে তার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার ভালো ওষুধ খাওয়ানোর কথা বলে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ালে তাতে ভুক্তভোগী অচেতন হয়ে পড়ে। অতঃপর আসামী সঞ্জয় শীল ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায় ধর্ষণ করে। ধর্ষণরত অবস্থায় ভুক্তভোগীর জ্ঞান ফিরলে তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের পথচারীরা এগিয়ে আসলে আসামি সঞ্জয় শীল ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর র্যাব-৬, খুলনার স্পেশাল কোম্পানির একটি বিশেষ আভিযানিক দল শুক্রবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানাধীন গাইয়াখালি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী সঞ্জয় শীলকে গ্রেপ্তার করে।
খুলনা গেজেট / এমএম