মহামারী করোনা নির্মূলে খুলনার মানুষের আগ্রহ অনেক কমেছে। দেড় বছরে জেলায় ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার নারী- পুরুষ টিকা নিয়েছে। এখন আর কেউ আগ্রহী নন। জেলায় ১ লাখ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। তার মধ্যে ফাইজারের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মজুদকৃত ১২ হাজার ৬০ ডোজ ফাইজার ও ৩৩ হাজার ৮৭৩ ডোজ ফাইজার ( শিশু) টিকার ডোজের মেয়াদ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। তিন হাজার নয়শত সাইত্রিশ ডোজ জনসন ও ৩৫ হাজার ২ শ ২১ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকোর ডোজের মেয়াদ আগামি ৭ ডিসেম্বর শেষ হবে। ১৯ হাজার ২ শ ১২ ডোজ সিনোফার্মের মেয়াদ আগামী বছরের ২৪ অক্টোবর শেষ হবে।
স্থানীয় সুত্র বলছে, গত বছরের ১৯ জুন থেকে এ বছরের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৩৯ হাজার নারী- পুরুষ টিকা গ্রহণ করে। তার মধ্যে ২৩ লাখ ৫৭ হাজার প্রথম ডোজ, ২০ লাখ ২১ হাজার দ্বিতীয় ডোজ এবং ১১ লাখ ৬০ হাজার জন বুষ্টার ডোজ গ্রহণ করেন। সিনোফার্মের মাধ্যমে এখানে টিকাদানের সূচনা হয়। গত বছরের জুন থেকে এ পর্যন্ত ৫৬ লাখ ৫৮ হাজার ২ শত ৩৯ ডোজ টিকা আসে। এসব টিকার মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকো, সিনোফার্ম, মডানা, ফাইজার, শিক্ষার্থীদের জনসং, সিনোভ্যাক্স ও ফাইজার।
গত দেড় বছরে জেলায় ৮ হাজার ৮শ ৭১ ডোজ টিকা অপচয় হয়। এট মধ্যে মর্ডানার পরিমাণ বেশি।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা মনজুরুল মোর্শেদ প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বলেন, টিকা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে থাকে। অপচয় ও নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কম। জেলার বিভিন্ন স্থানে টিকাদানের কার্যক্রম চলছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই টিকাগুলো ব্যবহার হবে। এমন টিকা আছে যার মেয়াদ আগামী বছর শেষ হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা সুজাত আহম্মদ জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় বলেন, করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যারা বুষ্টার ডোজ নেননি তাদের নেয়ার আহবান জানান তিনি।