করোনা, ডেঙ্গু ও মৌসুমী সর্দি জ্বরের কারণে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে তিনগুণ। চাহিদা বাড়ায় গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ গ্রুপের ওষুধের সংকট তৈরি হয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো খুলনার বাজারে মাসে দু’বারের বেশি সাপ্লাই দিতে পারছে না। ফলে সংকট কাটছে না। বেশি দামে ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে এ অঞ্চলের রোগীদের।
মেডিসিন ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, উল্লিখিত তিনটি রোগের সাধারণ ওষুধ প্যারাসিটামল। এ গ্রুপের ওষুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত জেলার ৫ হাজার মেডিকেল স্টোরে সংকট তৈরি হয়েছে। বেক্সিমকো ও অপসোনিন কোম্পানীর উৎপাদিত এ গ্রুপের ওষুধের সরবরাহ গত বছর থেকেই কমেছে। পাশাপাশি নভেম্বরের প্রথম থেকে শীত, হাপানি, সাইনোসাইটিস ও এলার্জির ওষুধ বিক্রি বেড়েছে। রোগীর শরীরে নানা ধরনের প্যারাসাইট আক্রমণ প্রতিহত করায় ওষধ ও ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ প্রতিরোধ করে এমন এন্টিবায়োটিক।
ড্রাগিস্ট সমিতিরি সূত্র বলেছে, এইচ প্লাস, এইচ এক্স, ফাস্ট এক্স, নাপা, নাপা এক্সট্রা, নাপা সিরাপ, নাপা এক্সটেন্ড ইত্যাদির সংকট তৈরি হয়েছে। ১০ পিসের একপাতা ট্যাবলেটের মূল্য ১৫-২০ টাকার পরিবর্তে ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর খুলনার তত্ত্বাবধায়ক মনির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, করোনার শুরু থেকে কোনো ওষুধের দাম বাড়েনি। প্রসঙ্গক্রমে তিনি উল্লেখ করেন, দাম বাড়ার পরিবর্তে দোকানগুলো ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। ময়লাপোতা মোড়ের ব্যবসায়ী শাহজাহান ফার্মা, রুপকথা ফার্মা ও রোকেয়া ফার্মেসীর প্রতিনিধিরা বলেছেন, নাপা ও রেনোবার সরবরাহ মাসে দু’বার। ফলে সংকট থেকেই যাচ্ছে।
হেরাজ মার্কেটের মামুন মেডিকেল হলের মালিক নাজমুল হোসেন শামীম তথ্য দিয়েছেন, প্রতিদিন ২ হাজার পিস নাপার চাহিদা থাকলেও ৫ শ’পিসের বেশি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এ বছরের প্রথম দিকে সরবরাহ ছিলো মাসে দু’বার। এখন সরবরাহ সপ্তাহে একদিন। বাকি ৫দিন ওষুধ কোম্পানীগুলো সরবরাহ করতে পারছে না।
কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির খুলনার শাখার সেক্রেটারি এস এম কবির উদ্দিন বাবলু তথ্য দিয়েছেন, করোনার শুরুতে খুলনার প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট থাকায় দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, খুলনার ৫ হাজার দোকানেই এ গ্রুপের ওষুধের সংকট চলছে।
খুলনা গেজেট/এএ