খুলনার লন্ডন প্রবাসী নভজ্যোতি রায়ের চার হাজার ইউরো, ২০ হাজার টাকা ও পাঁচ লাখ টাকার সোনার গহনা ছিনতাইয়ের অভিযোগে প্রাইভেটকার চালক ইরমান হোসেনসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন।
বুধবার নভজ্যোতি রায়ের পক্ষে খুলনা কালিবাড়ি জনতা ব্যাংক এলাকার অমৃত গাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি ইমরান হোসেন যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আইনুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নভজ্যেতি রায় লন্ডন প্রবাসী। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে এসে কিছুদিন থেকে আবারও লন্ডন চলে যান। ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর তিনি ঢাকা থেকে বিমানে যশোর আসেন। বিমানবন্দন টার্মিনাল থেকে নভজ্যোতি রায় খুলনা যাওয়ার উদ্দেশ্যে চালক ইমরান হোসেনের প্রাইভেটকার ভাড়া করেন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে তিনি একটি রেস্টুরেন্টে তার বন্ধুকে নিয়ে নাস্তা করেন। এ সময় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা চালক ইমরান হোসেনের বারবার ফোন করা ও আচরণে সন্দেহ হয় তার। নাস্তা শেষে তিনি বন্ধুকে শহরের নড়াইল বাসস্টান্ডে নামিয়ে দিতে যান। এরপর মণিহার সিনেমা হলের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণায় পৌঁছালে কয়েকটি মোটরসাইকেলে অপরিচিত ৮/১০ জন প্রাইভেটকারের সামনে এসে গতিরোধ করে। তাৎক্ষণিক চালক ইমরানকে দ্রুত চলে যেতে বললে তিনি কথা না শুনে প্রাইভেট কারের দরজা খুলে দেন। এ সময় কয়েকজন গাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা নভজ্যোতির মাথায় রিভলবার ঠেঁকিয়ে কাছে থাকা চার হাজার ইউরো, পাঁচ লাখ টাকার সোনার চেন, ব্রেসলেট ও আংটি এবং বাংলাদেশি ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় তিনি এতোদিন মামলা করা সাহস পাননি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বুধবার খুলনা কালিবাড়ি জনতা ব্যাংক এলাকার অমৃত গাইন বাদী হয়ে এ মামলাটি যশোর আদালতে দায়ের করেছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি