খুলনা, বাংলাদেশ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা : আপিল বিভাগে ফের শুনানি ২৬ মে
  তিন দফা দাবিতে আজও রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
  এনবিআর বিলুপ্ত করে দু’টি বিভাগ করার প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি চলছে
১০ ডিসেম্বর শাহাদত বার্ষিকী

খুলনার মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

৫০ বছর আগের কথা। রূপসা নদীতে ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল খালিশপুরের তিতুমীরের নৌ ঘাঁটি। ১০ নং সেক্টরে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী আত্মপ্রকাশের পর এ প্রথম অভিযান। দিনটি ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১। এ যুদ্ধে শহীদ হন নৌ বাহিনীর ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন। বিজয়ের পর জাতি তাকে বীরশ্রেষ্ট উপাধিতে ভূষিত করেন।

তিনি জন্মেছেন নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমিননগর গ্রামে ১৯৩৫ সালের জুন মাসে। মোহাম্মাদ আজহার পাটোয়ারী তার পিতা আর জুলেখা বেগম মা। ১৯৫৩ সালে তিনি পাকিস্তান নৌ বাহিনীতে যোগদেন। ১৯৭১ সালের মার্চে চট্রগামের নৌ ঘাঁটিতে কর্মরত ছিলেন। এপ্রিলে চট্রগ্রামের বখতিয়ার নৌ ঘাঁটিতে পালিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছান। ২ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধে অংশ নেন। সেপ্টেম্বরে নৌ বাহিনী গঠন হলে তিনি এখানে যোগদেন।

কলকাতার হলদিয়া সমুদ্র বন্দর থেকে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ পদ্মা, পলাশ ও পানভেল খুলনার খালিপুরের তীতুমীরের উদ্দেশে রওনা হয়। ৯ ডিসেম্বর যুদ্ধ জাহাজগুলো সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টের কাছে এসে পৌছায়। ১০ ডিসেম্বর ভোর ৪ টা নাগাদ জাহাজগুলো হিরণ পয়েন্ট ত্যাগ করে। চালনা সমুদ্র বন্দরে পেঁছায় ভোর ৭ টা নাগাদ। বিনা বাধায় জাহাজগুলো মোংলা বন্দর অতিক্রম করে। দুপুর ১২ টার পর শিপইয়ার্ডের কাছাকাছি পৌঁছায়। নৌ সেনা দলের অধিনায়ক ছিলেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপটেন মহেন্দ্র নাথ সামন্ত। হঠাৎ আকাশে মিত্র বাহিনীর বিমান ওড়ে। বিমান থেকে যুদ্ধ জাহাজ উদ্দেশ্য করে গোলা ছোড়া হয়।

আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। যুদ্ধ জাহাজ পানভেল চালনার দিকে ফিরে যায়্। যুদ্ধ জাহাজ পলাশের ইঞ্জিনরুম ধবংস হয়। স্কোয়াডেন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন যুদ্ধ জাহাজ থেকে লাফিয়ে পানিতে পড়েন। সাঁতরে পূর্ব রূপসার তীরে ওঠেন। স্থানীয় রাজাকাররা তাকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে হত্য করে। রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে খেয়া ঘাটের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিনের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, রূপসা উপজেলা প্রশাসন ও রূপসা প্রেসক্লাব বিস্তারিত কর্মসূচী নিয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!