খুলনা জেলার ৪ উপকূল উপজেলাবাসীর জন্য জেলা প্রশাসন জি-আর এর ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করেছেন। আজ বিকেল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে চাল বিতরণ করা হবে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে প্রানহানি এড়াতে উপকূলবাসীদের পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বেলা ২ঃ৩০ টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, জেলায় ৪০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২’লাখ ৭৩ হাজার ৮’শ ৫০ জনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগ রয়েছে। কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা এলাকার বিপদগ্রস্ত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। মধ্যরাত নাগাদ গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় রূপ নেবে সিত্রাং।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন অধিদপ্তর কয়রা উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, পাইকগাছা উপজেলায় ৬ মেট্রিক টন চাল, ১লাখ নগদ টাকা, ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, দাকোপ উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন চাল, ১.৫০ লাখ টাকা, ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪ মেট্রিকচাল, ৫০ হাজার নগদ টাকা ও ১০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল,১ লিটার সয়াবিন, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি লবণ বরাদ্দ করা হয়েছে। ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসকে সার্বক্ষনিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
আইডব্লিউটিএ থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলা।