খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ৬ষ্ঠ বছরে পদার্পণে খুলনা গেজেট’র সকল পাঠক, লেখক, সংবাদকর্মী, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীকে আন্ত‌রিক শুভেচ্ছা

খুলনায় দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদের কালচারাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত

গেজেট ডেস্ক

খুলনায় দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ খুলনাঞ্চলের উদ্যোগে দিনব্যাপী কালচারাল লিডারশিপ প্রোগ্রাম-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে এই কালচার লিডারশীপ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ খুলনাঞ্চলের পরিচালক সাইফুল ইসলাম উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে ও মিডিয়া প্রচার সম্পাদক সালমান রিয়াজের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন দেশীয় সাংস্কৃতিক সংসদ খুলনাঞ্চলের উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।

প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের মহানগর প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা এমরান হুসাইন, সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা উপাধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম মুকুল, বাগেরহাট জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা রেজাউল করিম।
আলোচক ছিলেন সংসদের সেক্রেটারি ড. মনোয়ারুল ইসলাম ও বাংলাদেশ সঙ্গীত কেন্দ্রের সহ-সভাপতি আবু তাহের বেলাল। দারসুল কুরআন পেশ করেন খুলনা জেলা সাংস্কতিক বিভাগের উপদেষ্টা মাওলানা গোলাম সরোয়ার।

প্রধান অতিথি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ অপসংস্কৃতিতে ভরে গিয়েছিলো। কোথাও ইসলামিক জলসা হলেই সেখানে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হতো। কোথাও শর্তসাপেক্ষে ওয়াজ মাহফিল ও জলসাা করতে দিতো, আবার কোথাও দিতোই না। কারণ সংস্কৃতি জাতিসত্ত্বাকে উজ্জীবিত করে। যাতে মুসলমানরা সংস্কৃতি চর্চা করে জাতিকে উজ্জীবিত করতে না পারে সেই চেষ্টাই করছিলো ফ্যাসিবাদীরা। তখন সর্বত্র অপসংস্কৃতিতে সয়লাব ছিলো। সেই অপসংসস্কৃতির মোকাবেলায় কাজ করেছিলো শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকরা। জুলাই আন্দোলনে তাজা রক্ত দিয়ে সেই অবস্থার পরিবর্তন করেছে ছাত্র-জনতা।
আবু তাহের বেলাল বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ক্ষেত্রে সাহিত্য-সংস্কৃতির ভূমিকা অপরিসীম হিসেবে কর্মীদের হৃদয়ে গেঁথে নিতে হবে। বিদ্রোহী বা চেতনার সূরে কাজী নজরুল ইসলামের পরেই কবি মতিউর রহমান মল্লিকের অবস্থান। তিনি আজীবন চেষ্টা চালিয়েছেন তৃণমূলে সুস্থ সংস্কৃতির প্রচলন করার। তারই উত্তরসূরী বা কর্মী হিসেবে সর্বশ্রেণির মানুষের কাছে আমাদের সংস্কৃতির ধারা পৌঁছে দিতে হবে।

প্রধান বক্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেছেন, সংস্কৃতি কেবলই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের মনন ও চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে নয়; জাতীয় জীবনের উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করতে পারলে একটি জাতির পরাজয় বা পতন ঠেকানো খুবই কঠিন। জায়নবাদী গোষ্ঠীর দোসররা আমাদেরকে সাংস্কৃতিকভাবে পরাস্ত করবার ষড়যন্ত্র সবসময় অব্যাহত রেখেছে। এখন আমাদের উচিত তাদের পাতানো ফাঁদে পা না দেওয়া। এবং এইসব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা। আমাদের নিজস্ব সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশ সাধনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এ প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় বাগেরহাট জেলার সাংস্কৃতিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, খুলনা মহানগরী সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীম মিরাজ হোসাইন, সাতক্ষীরা জেলার সাংস্কৃতিক সম্পাদক প্রভাষক মো. ওমর ফারুক, প্রেরণা সাহিত্য সংসদ খুলনার সভাপতি নাজমুল কবীর, সেক্রেটারি শাহ মাখদুম, খুলনা জেলার জাহানাবাদ সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক মাওলানা হেলাল উদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলার পূর্বাভাস সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি এডভোকেট আবু তালেব ও সেক্রেটারি ড. ইউনুস আলী, বাগেরহাটের উপমা সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদের পরিচালক অধ্যাপক হায়দার আলী ও সহকারী পরিচালক মোড়ল শরীফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা গেজেট/এম এন এস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!