দেশের শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি বিকাশের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সহযোগিতা ও উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনাতে দৃষ্টিনন্দন খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সুন্দর স্থ্যাপত্যশৈলী সাধারণ মানুষের কাছে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে না সেভাবে। কারণ এই স্থাপনার সামনে সরকারি একটি অব্যবহারযোগ্য পুরনো স্থাপনা থাকায়। বতমানে সরকারি অর্থ ব্যয় করে এই স্থাপনাটিকে নতুন রূপ দেয়া হচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক।
বর্তমান শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্সে জায়গার স্বল্পতার কারণে বড় আয়োজনে পর্যাপ্ত যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। এমতাবন্থায় শিল্পকলার স্থাপনাকে দৃশ্যমান করা এবং যানবাহন রাখার ব্যবস্থা করার স্বার্থে এই প্রাচীন ভবনটি শিল্পকলা একাডেমির অধিভূক্ত হওয়া জরুরী।
এই দাবির সপক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার শিল্পী-সাহিত্যিক, সংস্কৃতিসেবী, লেখক, নাট্যকর্মীসহ বিভিন্নস্তরের নাগরিকবৃন্দের উপস্থিতিতে নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ শিল্পকলা একাডেমির সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মকবুল হোসেন মিন্টু, সাংস্কৃতিক সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান বাবলু, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, কামরুল ইসলাম বাবলু, শরিফুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ফোরাম নেতা শাহীন জামান পন, বেনানাশিস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আবিদউল্লাহ চৌধুরী মিনহাজ-উজ-জামান সজল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হুমায়ুন কবির ববি, এম এম মাসুদ মাহমুদ, উম্মে কুলসুম পলি, এস এম হুসাইন বিল্লাহ, এনামুল হক বাচ্চু, জেসমিন জামান, এম এম জাফর ইকবাল, মাজেদ জাহাঙ্গীর, সেখ সিরাজুল ইসলাম, বিধান চন্দ্র রায়, এস এম আনোয়ার কবির, শেখ আব্দুস সালাম, মোঃ শরীফ খান, শাহানাজ সুলতানা, কামরুল কাজল, শেখ ইকবাল মাহমুদ, মজীদ বয়াতী, ইকবাল হাসান তুহিন, কোহিনুর জাহান, লুৎফুন নাহার পলাশী, আশরাফুল আলম রনি, রনজিত কুমার সাহা, অসিম কুমার দেবনাথ, ইন্দ্রজিৎ কুমার বিশ্বাস, সালমানুর মেহেদী মুকুট, দেব কুমার, এম নুরুল ইসলাম নুরু, শ্যামল কুমার রায়, মানিক ঠাকুর বাপ্পা, রবীন্দ্রনাথ বসাক, শহীদুল ইসলাম রাজু, প্রাণ কৃষ্ণ বিশ্বাস প্রমুখ। বক্তব্যের মাঝে গণসঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে বক্তারা খুলনার সংস্কৃতিক অঙ্গণ বিশেষ করে খুলনাবাসির সার্থে অবিলম্বে শিল্পকলা একাডেমির সামনে অবস্থিত ভবনটি অধিভুক্ত করে দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্সটিকে পূণাঙ্গ রূপ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।