যশোরের মুড়লি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর খুলনা ও যশোরের সাথে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। এর আগে, সংঘর্ষে ট্রাক চালক নিহত ও হেলপার আহত হন। এ ঘটনায় যশোর থেকে খুলনার সাথে সব ধরণের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
যশোর রেল স্টেশনের মাস্টার আয়নাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে আসে। এরপর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। প্রায় দু’ ঘণ্টা উদ্ধার কাজ চালানোর পর রাত আড়াইটার টায় শেষ হয়। এরপর খুলনার সাথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাকেরও ইঞ্জিনসহ বডি দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
উদ্ধারকারী ট্রেনের পরিচালক অসিত কুমার বিশ্বাস জানান, ওই রাতেই তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করার প্রায় এক ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হন। এরপর দর্শনা থেকে আরেকটি ইঞ্জিন এনে দুর্ঘটনার শিকার ট্রেনটি রাত আড়াইটার দিকে যশোর রেলস্টেশনে ফিরিয়ে আনা হয়। এ অবস্থায় ট্রেনলাইন ক্লিয়ার হলে আটকে পড়া ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য ট্রেনের যাতায়াত শুরু হয়।
যশোর রেলস্টেশনের মাস্টার আয়নাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার ৭ ঘন্টা পর রবিবার (২২ নভেম্বর) রাত তিনটার দিকে যশোর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে যশোর-খুলনা লাইনে ট্রেন চলাচলে আর কোন সমস্যা নেই।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে একটি ট্রাক বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিল। পথে মুড়লী রেলক্রসিং দিয়ে রাজশাহী থেকে আসা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন খুলনার দিকে যাচ্ছিল। ক্রসিংয়ের গেট খোলা থাকায় ট্রাকটি ট্রেন লাইনে উঠে যায়। এসময় ট্রেনের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের চালক আকবর আলী (৪৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তিনি চাঁপাইনবানগঞ্জ শহরের মৃত সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।
খুলনা গেজেট/কেএম/এমএম