খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীতে ফার্মগেটে বণিজ্যিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট কাজ করছে
  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু
ফলাফল পেতে লাগছে সময়

খুমেক ল্যাবের পিসিআর মেশিনটি যেকোন সময় অচল হতে পারে, অন্যটি ত্রুটিপূর্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুমেক ল্যাবে করোনা টেষ্টের জন্য দু’টি পিসিআর মেশিনের একটি দীর্ঘদিন ধরে ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় আছে। অপর মেশিনটি রাত দিন কাজ করতে করতে যেন হাফিয়ে উঠেছে। যেকোন সময় অচল হয়ে পড়তে পারে মেশিনটি। ফলে স্যাম্পল জমে যাওয়ায় করোনা পরীক্ষার ফল পেতে সময় লাগছে বেশ।

খুলনাসহ পাশবর্তী জেলা সমূহে করোনার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে গাণিতিক হারে।  গত সপ্তাহে শুধু খুলনাতেই  মারা যায় ৫ জন, শনাক্ত হয় প্রায় ২ শত জন। এই যখন অবস্থা তখন পরীক্ষার হার বাড়ানোর বদলে উল্টো পথে হাটছে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে জনবল ও কীটের অভাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরা, মাঝে মধ্যে চালু থাকে যশোরে, বিদেশগামীদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। এসব জেলা ছাড়াও  পরীক্ষার জন্য অন্যান্য জেলা থেকে রোগী আসছে খুলনা। এছাড়া পার্শবর্তী গোপালগঞ্জ জেলার রোগীরাও করোনা টেষ্টের জন্য আসে বলে জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ।

খুমেক ল্যাবে কাগজে কলমে রয়েছে ২ টি পিসিআর মেশিন। কার্যত: পরীক্ষা করা যাচ্ছে একটিতে। ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় বাকি একটি মাঝে মধ্যেই অচল হয়ে পড়ছে। ফলে একটি পিসিআর মেশিন দিয়ে চলছে খুলনার অধিকাংশ জেলার মানুষের নমুনা পরীক্ষা।  প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় চলমান মেশিনটিও যে কোন সময় অচল হয়ে যেতে পারে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ  সূত্র  জানিয়েছে, ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল কলেজের তৃতীয় তলায় মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগের ল্যাবে পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনের কার্যক্রম শুরু হয়। পিসিআর মেশিনে এক দিনে পরীক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ২৮২টি। কিন্তু প্রতিদিন সংগ্রহ করা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনের নমুনা। প্রতিদিনই প্রচুর নমুনা জমা পড়ছে। ফলে করোনা শনাক্ত নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। বিদেশে যেতে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হওয়ায় আক্রান্ত রোগীদের ছাড়াও বিদেশগামীদের বড় একটি অংশও প্রতিদিন নমুনা দিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বাড়ছে জটিলতা।

খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়কারী ডা. মেহেদী নেওয়াজ খুলনা গেজেটকে বলেন, রোগ নির্ণয়ের জন্য খুলনায় আরেকটি পিসিআর মেশিন বসানো খুব-ই প্রয়োজন।  এছাড়া আশপাশের যেসব জেলা থেকে খুলনায় নমুনা আসে, সেগুলোর জন্যও মেশিন স্থাপন জরুরি হয়ে পড়েছে।

কেসিসি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা গেজেটকে বলেন, আমরা মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি জানিয়েছি, আশা করি খুব শিগগিরই পিসিআর মেশিন বসানো হবে।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!