খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হল থেকে মদের বোতল ও গাঁজাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিব্রত খোদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। হলটির নিচতলা এবং চতুর্থ চলার দুটি কক্ষ থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। মাদকের সঙ্গে ইউআরপি এবং এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজার ছুটি শুরু হওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ আসছিল। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকসহ কয়েকজন অভিযান চালান। এ সময় তারা হলের নিচতলার ১০২ নম্বর কক্ষ এবং চতুর্থ তলার ৪১২ নম্বর কক্ষ থেকে বেশ কিছু মদের বোতল, পাইপ, গাঁজাসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এগ্রো টেকনোলজি ও ইউআরপি ডিসিপ্লিনের দুই শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে।
খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মো. ইকবাল আহমেদ বলেন, রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি তথ্যের ভিত্তিতেও আমরা বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। মাদকসহ মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পূজার ছুটি শেষ হলে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করবো। প্রাথমিকভাবে সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে নেয়া হয়নি।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, হলের দুটি কক্ষ থেকে এগুলো উদ্ধার হয়েছে। দুই শিক্ষার্থীর কোনো সম্পৃক্ততা আছে কিনা আমরা যাচাই করবো। তদন্ত পূর্বক হল প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের সিট বাতিল করার নিয়ম রয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অভিভাবককে অবহিত, জরিমানাসহ যে ব্যবস্থা আছে সেগুলো নেয়া হবে।