খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, ঈদের ছুটি পরবর্তী অফিস সময়সূচি নির্ধারণসহ সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক প্রধানদের সাথে এক মতবিনিময় সভা আজ ২১ জুন (বুধবার) শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
সভায় পবিত্র ঈদ-উল আযহার ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনের ক্লাসের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এবং সকল অফিসের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালক, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানকে ডি-নথি চালু করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হয়।
এছাড়াও সভায় সদ্য সমাপ্ত টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট আগামী টার্ম শুরুর পূর্বেই দ্রুততার সাথে প্রকাশের আহ্বান জানান। সভায় ইউজিসির অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা, অনলাইন-অফলাইন ক্লাস, কোর্স রেজিস্ট্রেশন, র্যাগিং বন্ধ, শৃঙ্খলাবিধি, চলমান অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের অগ্রগতিসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান রাখা ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুনাম ধরে রাখতে সরকারের নির্দেশনা, জ্বালানি ঘাটতি মেনে নিয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সপ্তাহের ৫ দিনই শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতার কারণে। আমি এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ডি-নথি হলো স্বচ্ছতার জায়গা। এটা শুদ্ধাচারের অংশ। সকল ডিসিপ্লিন-দপ্তরকে কাজের গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি করতে ডি-নথির আওতায় আসতে হবে বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। সভায় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ উন্মুক্ত আলোচনাপর্বে অংশ নেন। সভা সঞ্চালনা ও সূচনা বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস।
খুলনা গেজেট/এনএম