খুলনায় পাটকলের বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে থালাবাসন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকেরা। শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর পিপলস গোলচত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শ্রমিকরা। খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিল যৌথ কারখানা কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বদলি শ্রমিকনেতা নূর ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ২ জুলাই পাটকল বন্ধের পর থেকে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন। অন্যপাটকলের শ্রমিকরা অবসায়নের অর্থ পেলেও ভাগ্যে জোটেনি খালিশপুর, দৌলতপুর জুটমিলসহ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক ৫টি পাটকলের শ্রমিকদের। আর্থিক সংকটে পরিবার পরিজন নিয়ে দূর্ভোগে রয়েছেন তারা। এ অবস্থান বন্ধ পাটকল চালু শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে থালাবাসনহাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা।
এদিকে বিকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে রাতের অন্ধকারে ২৫টি পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। পাট খাতে লোকসান করে সরকার। আর চুরি-দুর্নীতি-লুটপাট করেন আমলা-মন্ত্রীরা। অথচ পাটকল বন্ধের পর থেকে শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কর্মহীন শ্রমিকেরা অর্থাভাবে রয়েছে। তাদের পেটে ভাত নেই। এছাড়া দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে শ্রমিক-কৃষকসহ সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো পুনরায় রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করার দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
একইসঙ্গে চাকরিহারা ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন অনুযায়ী প্রাপ্য বেতন, বকেয়া ছয়টি বিলসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কারখানা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) নূর মোহাম্মদ। সমাবেশে বক্তব্য দেন পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশীদ, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী, দৌলতপুর জুট মিল কারখানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মোফাজ্জেল হোসেন, যশোর-খুলনা আঞ্চলিক বদলি কমিটির আহ্বায়ক মো. ইলিয়াস হোসেন, সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাক তালুকদার, শ্রমিকনেতা মো. নূরুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশন খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল আমিন শেখ প্রমুখ।