মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এটাকে সামনে রেখে কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছে। বৃহস্পাতবার (১৫ জুলাই) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে সকল গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও বিপনি বিতান । আর এ সুযোগে করোনা সংক্রমণের কথা ভুলে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদ কেনাকাটায়।
সকাল ১০ টা থেকে খুলনার ডাকবাংলা এলাকার মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করে। দোকান খোলার পরপরই বাড়তে থাকে ক্রেতাদের ভীড় । বেলা বাড়ার সাথে সাথে জনগণের সমাগমও বাড়তে থাকে।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, এমএমএ রব শপিং কমপ্লেক্স, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, কবি নজরুল মার্কেট, জব্বার মার্কেট, নান্নু মার্কেট, খুলনা বিপনী বিতান কেন্দ্র, মশিয়ার রহমান মার্কেট, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স ও জলিল টাওয়ার মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা যেন অবাস্তব কল্পনা।
নগরীর এসএমএ রব শপিং কমপ্লেক্সের খান শাড়ী প্যালেসের কর্ণধর মোঃ শাহীন খান বলেন, ২৩ দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল দোকান খুলেছেন। শিথিলতার প্রথমদিন বেচাকেনা বেশ ভাল হয়েছে। দোকানে তেমন ভিড় করতে দিচ্ছেন না তিনি। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। এ কথা বলার পর মার্কেটের বাস্তব চিত্র ভিন্ন দেখা গেছে। দলেদলে ক্রেতাদের ঢুকতে দেখা গেছে। যাদের অধিকাংশের মুখে কোন মাস্ক ছিল না। প্রবেশ মুখেও কোন বাধা দেওয়া হয়নি।
বেলা ১ টায় খুলনা বিপনি বিতান কেন্দ্রের নিউ পাঞ্জাবী হাউসে গিয়ে ক্রেতাদের বেশ ভিড় দেখা যায়। সেখানে সামাজিক দুরত্ব মানতে কাউকে দেখা যায়নি।
এপেক্স গ্যালারী খুলনার ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন জানান, ৩৫ শত স্কয়ার ফিটের দোকানে ১২ জনের বেশি কাউকে ঢুকতে দেওয় হচ্ছে না। রয়েছে তাপযন্ত্র, স্যানিটাইজার। কোন ক্রেতার মুখে মাস্ক না থাকলে তাকে মাস্ক পরিয়ে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি কঠোরভাবে দোকান পরিচালনা করছেন।
সপ্তাহিক ছুটির কারণে ডুমুরিয়া থেকে আফজাল খান তার পরিবার নিয় ঈদ কেনাকটায় এসেছিলেন। মার্কেটে মানুষের ভিড় দেখে হতভম্ব হয়ে বাড়ি ফিরে যান।
খুলনা গেজেট/ টি আই