কেশবপুরের বিদ্যান্দকাটি ইউনিয়নের বাউশলা গ্রামে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রামের বহু মানুষ জ্বর-শ্বাসকষ্টের মত করোনা উপসর্গে ভুগছেন। এই গ্রামে ছয় ঘন্টার ব্যবধানে করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই নারীর মৃত্যুতে গ্রামবাসির মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্যান্দকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, বাউশলা গ্রামটিতে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর বসবাস বেশি। এই গ্রামে দুইটি বাজার রয়েছে। গ্রামের মানুষ দিনের একটি সময়ে এক জায়গায় মিলিত হওয়ার কারণে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। অবহেলিত জনগোষ্ঠীর বসবাস বেশি হওয়ায় কেউ নমুনা পরীক্ষা করতে আগ্রহী না।
বর্তমান গ্রামের অনেক মানুষ জ্বর-শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগছেন। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকমান সরদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৪৪) এর মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুর ছয় ঘন্টার ব্যবধানে একই গ্রামের কউসার আলীর স্ত্রী রাশিদা খাতুন (৪০) এর একই রোগের উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে। তার আগে মোঃ সোবহান সরদার (৬৮) এর মৃত্যু হয়েছিল। গ্রামবাসির মাঝে আতংক যাতে না ছড়ায় তার জন্য মৃত্যুকে গোপন করা হয়েছিল বলে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান। তবে এই গ্রামের অধিবাসিদের মাঝে করোনা সচেতনতার খুব অভাব রয়েছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাই না।
বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন বাউশলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, বাউশলা গ্রামে করোনা পজিটিভ রুগী ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামের অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গ্রামে করোনা মহামারির আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে কেশবপুরে করোনা পরিস্থিতি দিনদিন ভয়াবহ হচ্ছে। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গতকাল হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩৬ জন, করোনা পজিটিভ রুগী ২১ জন ও হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রুগী ভর্তি আছে ১২ জন।
এদিকে কেশবপুর উপজেলায় কঠোর লকডাউন চলাকালেও সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইরুফা সুলতানা উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করার কারণে দুই জন ব্যবসায়ীকে ২ হাজার ও কেশবপুর শহরে দুই জনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে সেনাবাহিনী ও বিজিবির যৌথ টহল জোরদার চলছিল। এ সময়ে তিনি এক জনকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি