কেশবপুরের ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানের ৩ কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়সহ বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামানের নির্দেশে এ হামলা করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমানের ভাই ইউনুস আলীর স্ত্রী বিলকিস নাহার।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার ত্রিমোহিনী বাজারের চাঁদনিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিলকিস নাহার বলেন, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এস এম আনিছুর রহমানের কর্মী-সমর্থকরা শনিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামানের নির্দেশে সরাপপুর এলাকার কুন্ডুপাড়ায় তাদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়।
এ ঘটনায় রেজাউল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও রবিউল ইসলাম নামে দুইজন কর্মী আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপরেই সরাপপুর, মির্জানগর ও গোপালপুর এলাকায় আমাদের আনারস প্রতীকের তিনটি নির্বাচনী কার্যালয়, বাড়িঘর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনিছুর রহমানের স্ত্রী শামিমা ইয়াসমিন কাজল, কর্মী রিজিয়া খাতুন, সাহেদা বেগম, মরিয়াম বেগম, সখিনা খাতুনসহ শতাধিক নারী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তিনি অসুস্থ তাই নির্বাচন অফিসারের নিকট অভিযোগ করতে পারেন নি। তিনি অভিযোগ দিবেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ফেরানোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে সেটা সত্য নয়। কোন জায়গায় যদি এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে সেটি আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই