কেশবপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে ৬ জনের নামে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আহত তছলিমা বেগম কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। অপর জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত মোবারেক আলী মোড়লের ছেলে হাফিজুর রহমানের সঙ্গে আপন ভাই এনামূল, সাহিদুল ইসলাম, ভাবি তোহরা খাতুন, রাশিদা বেগম, ভাইপো ইমরান ও ভাইঝি রজনীর সাথে বসত ভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে সোমবার (৩ মে) সকালে প্রতিপক্ষরা একত্রিত হয়ে বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের জন্য তছলিমা বেগমের (৪২) উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এ সময় তার স্বামী হাফিজুর রহমান ঠেকাতে আসলে তাকেও মারপিট করে আহত করে।
হাফিজুর রহমান (৫০) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। তার স্ত্রীর অবস্থা গুরুত্ব হওয়া বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। প্রতিপক্ষরা তছলিমা বেগম ও হাফিজুর রহমানকে মারপিট করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে তাদের ঘরে তালা লাগিয়ে দেয়। এ কারণে হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে আপন ভাই এনামূল, সাহিদুল ইসলাম, ভাবি তোহরা খাতুন, রাশিদা বেগম, ভাইপো ইমরান ও ভাইঝি রজনী নাম উল্লেখ করে সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
খুলনা গেজেট/ এস আই