কৃষি বিপণন অধিদপ্তর তিন স্তরে আলুর মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না কেশবপুরের আলু ব্যবসায়ীরা। ২২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৪০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি। নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের প্রেক্ষিতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসায়ীরা তা উপেক্ষা করছেন। আর তার পুরো প্রভাব গিয়ে পড়ছে ভোক্তাদের উপর।
গত ১৪ অক্টোবর কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। পাশাপাশি পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা দরে বিক্রি করতে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে ২০ অক্টোবর যা হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৭ টাকা, পাইকারি পর্যায়ে ৩০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ৩৫ টাকা পুনঃনির্ধারণ করে দিয়েছে।
কেশবপুরের বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা আগের দামের সমান। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর পাইকারি পর্যায়ে আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
সরেজমিন ২১ ও ২২ অক্টোবর আলুর বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সব ধরনের সবজির দাম বেশি হওযার পাশাপাশি ব্যবসায়িরা আলুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়িরা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
কেশবপুর পৌরসভার প্রধান চারানি কাচা বাজারে এ প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় সব্জি ক্রেতা মনিরুজ্জামান মনির। তিনি জানান, সকল প্রকার সব্জির দাম বেশী। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সে কারণে বেশি করে আলু কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাজারে আলু কিনতে এসে দেখি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়িরা। সে কারণে ৫ কেজি না কিনে ১ কেজি কিনেছি। একই কথা জানান সব্জি ক্রেতা উপজেলার বুড়িহাটী গ্রামের রুস্তোম আলীও।
খুচরা ব্যবসায়ি আব্দুল জলিল বলেন, পাইকাররা দাম না কমালে আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা কি করতে পারি। আমরা যে দামে আলু ক্রয় করি খরচসহ সামান্য লাভে বিক্রি করছি। স্থানীয় পাইকারি আড়ৎ ব্যবসায়িরা যশোর, মণিরামপুরসহ দেশের বিভিন্ন আড়ৎ থেকে আলু ক্রয় করেন। সেখানে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দামে কিনতে না পারায় বেশি দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইকারি আড়ৎ ব্যবসায়িদের সাথে কথা বললে তারা জানান, হিমাগার পর্যায় থেকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর নির্ধারিত দামে আলু না পেলে আমরা কিভাবে দাম কমাবো। আমরা তো বেশি দামে আলু কিনেছি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লোকসানের শিকার হবো। তারা হিমাগার পর্যায়ে তদারকির আহবান জানান।
খুলনা গেজেট/এনএম