যশোরের কেশবপুরে একই গ্রামে প্রতিবেশি ২ টি পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ ভরী স্বর্ণলংকার চুরি করেছে চোর চক্র। এলাকাবাসীর মাঝে অচেতন বাহিনীর আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় পাহারার ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
গত বুধবার গভীর রাতে কেশবপুর সদর ইউনিয়নের দোরমুটিয়া সারকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও খতিয়াখালি গ্রামের মৃত চৈতন্য গোলদারের ছেলে পবিত্র কুমার গোলদারের বাড়ির সদস্যদের গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে ঘরের ভিতর চেতনানাশক স্প্রে করে সকলকে অচেতন করে ঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকাসহ স্বর্নালংকর, নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষক পবিত্র গোলদার জানান, তার কন্যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার বিয়ের জন্য গোছানো স্বর্নালংকারসহ পরিবারের অন্যান্যদেরসহ মোট ১৭ ভরি স্বর্নালংকার চুরি করে নিয়ে যায়। তার আগে সোমবার রাতে প্রতিবেশী বিমল কুমার দাসের পুত্র মাধই কুমার দাসের বাড়ির সকলকে একই ভাবে অচেতন করে নগদ দেড় লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, বাড়ির যাবতীয় মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এসময় তারা বাড়ির ব্যবহারিক আসবাবপত্র তছনছ করে। পর পর দুইটি পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে বড় ধরনের চুরি সংঘটিত হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে অচেতন করা বাহিনীর আতংক বিরাজ করছে।
এলাকার শংকার কুমার দাস জানান, পর পর এই ঘটনা ঘটার পরে আমাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। তারা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে পালাক্রমে রাত্র জেগে পাহারার ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কেশবপুর থানার এস আই গোরাচাঁদ চুরি সংঘটিত হওয়া বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন জানান অচেতন করা বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ওই এলাকায় এখন থেকে পুলিশের টহল জোরদার করা হবে এবং অচেতন করা বাহিনীর সদস্যদের চিহ্নিত করে করে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।