সর্বোস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নেয়া হয়েছে একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শহিদ মিনারে মরদেহ নেয়া হয় তার। সেখানে প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানানোর ছুটে ছুটে আসছেন ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এ গায়িকা দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর পর বারডেমের হিমঘরে রাখা হয় শিল্পীর মরদেহ।
এদিন সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুমার নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে তার। এরপর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে কালজয়ী গান ‘নাই টেলিফোন, নাইরে পিয়ন’ খ্যাত এ তারকাকে।
বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করার ব্যাপারে তার স্বামী সারোয়ার আলম বলেন, আমার ও পাপিয়ার পরিবারের অনেক সদস্যকে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। এ জন্য আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত, পাপিয়াকে বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরে সমাহিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর বরিশালে জন্ম পাপিয়া সারোয়ারের। ১৯৭৮ সালে সারোয়ার আলমের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। আর মৃত্যুকালে স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন এ গায়িকা।
খুলনা গেজেট/এনএম