মা! সম্মুখে তুমি ছায়াহীন কায়াহীন
তুমি নেই কাছে
বিভীষিকার ঘূর্ণিবাতের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে
দলানো-মুচড়ানো, লণ্ডভণ্ড উড়ে যাই বাতাসে
মৃত্যুর মাছি ওড়ে নাকের কাছাকাছি
এখন এক দুস্থ সময়ে, কুয়াশার অন্ধকারে হেঁটে চলি
বুকে শ্বাস আছে কোনমতে।
ভীষণ ভুতুড়ে এখন সময়ের একক
ঘড়ির কাঁটা ভারী অনিয়মিত, ঘড়িটিও কিম্ভূতকিমাকার
অসুস্থ সময়ের ফাটল কেটে যাবে কখন-কিভাবে
কেউ তা জানে না;
মা! চক্ষু-অন্ধ অমাবস্যার অন্ধকারে ডুবে গেছি এখন
অদ্ভুত নিষ্ঠুর কালচক্র জাপটে ধরেছে
মেঘে ঢাকা তারাবিহীন আকাশ
আলোর সমীপে ছুটে যাবো, সেই নিশানাও নেই!
মা! জেনেছি, তোমার সময়টিও, মোটেও ভালো কাটেনি
সময়ের ব্যবধানে তুমি নেই কাছে
নিয়তির ঘেরাটোপে এখানেও শূন্য বুকে হাহাকার
অসহ্য সময়ের চাকা, ভারে ভারে-
ভেঙ্গে যায় বুকের পাঁজরের হাড়
এখানে আঁধার নেমেছে গহীন সমুদ্রের নীল ঢেউয়ে
তীব্র স্রোতের তোড়ে পাড় ভাঙ্গে নদীর
কুহেলিকায় ঢেকে যায় সবকিছু।
এখন এখানে অদ্ভুত কালো চক্রের অন্ধকার
কুজ্ঝটিকায় গ্রাস করেছে দিনের আলো-কে
আলোর নিশানা নেই
ঘূর্ণিবায়ু তীব্রতর, ঠিক মাঝখানে দাঁড়ানো
দলানো-মুচড়ানো, লণ্ডভণ্ড উড়ে যাই বাতাসে
মৃত্যুর মাছি ভনভন ওড়ে নাকের কিনারে
এখন এক দুস্থ সময়ে-
কুয়াশার অন্ধকারে ক্রমাগত হেঁটে চলি
বুকে শ্বাস আছে কোনমতে!
খুলনা গেজেট/এনএম