কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সাতক্ষীরা সদর থানায় জোর করে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কারাগারে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে যশোর শিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (৩১ জুলাই) যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কারাগারে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি পাওয়া ওই দুই পরীক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ফাহিম পারভেজ ওরফে রনি (রোল: ৫১৯১২১) এবং কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা এলাকার জাহিদ হোসেন (রোল: ৬৭৪১৮৪)। তাদের উভয়ের পরীক্ষার কেন্দ্র সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ। দু’জনেই বর্তমানে সাতক্ষীরা কারাগারে আটক আছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার বিষ্ণুপদ পাল।
তিনি বলেন, কারাগারে থাকা দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে বলা হয়, সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আটক দুজন পরীক্ষার্থীকে কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি দেয়া হলো। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ এর ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র, প্রশ্নপত্র, হাজিরাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ এবং কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো। তবে কারাগারে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় পলীক্ষার্থীর অভিভাবককে বহন করতে অনুমতিপ্রত্রে বলা হয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে পুলিশের করা মামলায় তিন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে দু’দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো সাতজন হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইমরান হোসেন, একই গ্রামের এইসএসসি পরীক্ষার্থী কাজী সাকিব হাসান, সদর উপজেলার শাহরুখজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার চাকলা গ্রামের মঈনুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন, একই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের দুই এইসএসসি পরীক্ষার্থী ফাহিম পারভেজ রনি এবং জাহিদ হোসেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় জোর করে ঢোকার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ আনে পুলিশ।
উল্লেখ, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া চলমান এইচএসসি ও সমামনের পরীক্ষা ১১ আগষ্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম