খট-খট খট-খট খট খট… আওয়াজ। নগরীর ডাকবাংলা মোড়ের নান্নু মার্কেটের দর্জিপাড়ায় ঢুকলেই কানে বাজে সেলাই মেশিনের শব্দ। যা চলে সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত। রমজানের প্রথমদিকে অর্ডার না নিতে পারায় কর্মব্যস্ততা বাড়লেও বাড়েনি তাদের আয়।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এমন চিত্র দেখা যায় খুলনার দর্জিপাড়াগুলোতে। প্রতিবছর কাজের চাপে রমজানের শুরুতেই অর্ডার নেয়া বন্ধ হলেও এ বছর করোনার কারণে গত ২২ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেয়া হয়েছে।
কারিগররা জানান, প্রতি বছর কাজের চাপের কারণে রমজানের প্রথম সপ্তাহেই অর্ডার বন্ধ করে দিই। কিন্তুু এ বছর করোনার জন্য রমজানের প্রথম দিকে দোকান বন্ধ ছিল। তাই এ বছর অন্য বছরের তুলনায় ব্যবসা খুবই খারাপ।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও মার্কেটে শতাধিক দর্জির দোকানের কারিগররা ক্রেতাদের পোশাক তৈরীর কাজে দিনরাত খাটছেন। কেউ কাপড়ের মাপ নিচ্ছেন, কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ আবার সেলাই করছেন। ডাকবাংলার নান্নু বাজারে টেইলার্সগুলোতে কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত আটটা পর্যন্ত চলছে সেলাইয়ের কাজ। তবে কাজের সময় রাত ১২ টা পর্যন্ত বাড়ালে ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া যেত বলে দাবি করছেন কারিগররা।
পুলিশ লাইন এলাকা থেকে দর্জির দোকানে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা জানান, ঈদকে সামনে রেখে স্ত্রীর জন্য থ্রি-পিস বানাতে দর্জির দোকানে এসেছেন তিনি।
দোলখোলা থেকে আসা সারমিন আক্তার বলেন, দর্জির দোকান থেকে বানিয়ে নেওয়া পোশাকের ফিটিং ভালো হয় এবং কোনো সমস্যা হলে নিয়ে এসে আবার বলা যায়।
ঈদকে সামনে রেখে কাপড় কিনতে আসা গৃহবধূ নাহার বেগম বলেন, প্রতি বছর ঈদে আমি কাপড় কিনে জামা বানাই। কিন্তু এ বছর হাতে টাকা না থাকায় আসতে দেরি হয়ে গেছে মার্কেটে। তাই এখন দর্জিরা অর্ডার না নেয়ায় খুবই ঝামেলায় পড়ে গেলাম।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি