কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন আজ। খুলনা নগরীর মত রূপসা উপজেলার বাসস্ট্যান্ড, ট্রলার ঘাট, মাইক্রোস্ট্যান্ড, বাজার এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা রয়েছে চোখে পড়ার মত।
রূপসা বাজারের মুদি, কাঁচামাল, মাংসের দোকান ও ওষুধের দোকান বাদে সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কাঁচা বাজারের দোকানগুলোতে সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতো ভিড় ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতাদের সমাগম কমতে থাকে। এ সময়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক ছিল না। সামাজিক দুরত্বও ছিলো উপেক্ষিত।
এদিকে রূপসা বাস স্ট্যান্ড থেকে সকল বাস, মাইক্রো, প্রাইভেটকার চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ভাড়া চালিত মোটর সাইকেল বিভিন্ন জায়গায় পার্ক করা রয়েছে। সুযোগ পেলে দু’ একজন যাত্রী নিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করছে। ঘাটে ট্রলার সকালে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলাচল করায় বন্ধ করে দেয়া হয়।
সানজিদা আক্তার সকালে মোংলা থেকে বাসে চড়েই এসেছেন রূপসায়। লকডাউনে রূপসা ঘাটের ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকায় বৃষ্টির মধ্যে দাড়িয়ে রয়েছেন যাত্রী ছাউনির সামনে। তিনি জানান, কিডনিতে ইনফেকশন হয়েছে, জরুরী চিকিৎসার জন্য আবু নাসের হাসপাতালে যেতে হবে। তবে অসুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিতে ছাড়ছে দু-একটি ট্রলার।
এদিকে ঘাটের ট্রলার বন্ধ থাকার সুযোগে যাত্রী পার করছে চিংড়ি কোম্পানির সি-বোট গুলো। ছাউনির মধ্যে যাত্রী নিয়ে অভিনব পন্থায় পার হচ্ছে যাত্রীরা।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও সড়কে চলাচল করছে ব্যাটারি চালিত ভ্যান। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাত্রী নিয়ে চলছে সেগুলো।
খাবারের হোটেলগুলোকে শুধুমাত্র পার্সেল সার্ভিসের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কিছু দোকানী। রূপসা রেল স্টেশনের মোড়ের হোটেলগুলো অর্ধেক সাটার টেনে দোকানের ভেতরে খাবার পবিবেশন করছে।
লকডাউন সম্পর্কে রূপসা উপজেলায় নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া তাসনিম জানান, লকডাউন বাস্তবায়নে সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসনের একটি টিম কাজ করছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে প্রশাসনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে জরিমানা করা হয়নি। রাস্তায় লোকজনের উপস্থিতি কম রয়েছে। তবে জনসাধারণকে সতর্ক ও সচেতন করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এনএম