টানা আটমাস বৃষ্টির দেখা নেই। দাবদাহ বাড়ছে। মাঠ-ঘাট চৌচির হয়েছে। অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ও তরমুজের কাঙ্খিত ফলন হয়নি। গত শুক্র ও শনিবার কালবৈশাখী ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা হয়নি। বাতাসের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দক্ষিনী বায়ু দেশের ভূ-খন্ডে তেমন প্রবেশ করছে না। তবে আবহাওয়ার আরও পরিবর্তন হবে এ মাসে বৃষ্টি বাড়বে।
এখন শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ নেই। আর দক্ষিণী বায়ু ও পশ্চিমা লঘুচাপের মিশ্রণ ঘটাতে না পারায় বৈশাখে দীর্ঘ হয়েছে বৃষ্টিহীন দিন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলেছে, পশ্চিমা লঘুচাপ ভূ-মধ্য সাগর থেকে ভারত হয়ে দেশে প্রবেশ করে। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা দক্ষিণ বায়ু ব্যাপক জলীয় বাষ্প এনে মিশে যায় এর সঙ্গে। ফলে বৈশাখের এ সময় প্রচুর বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকে। এবার সেটা এখনও ঘটেনি। এ মৌসুমে পাঁচবারের মতো দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছে।
গত সাত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২০ সালের একই দিনে ৩২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ বছরের ১৫ এপ্রিল ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ২৫ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। খুলনার আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, গত ৫ এপ্রিল সর্বশেষ বৃষ্টিপাত হয় ২ মি. মি.। তিনি বলেন, মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান জানান, শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ থাকে এপ্রিলের শেষদিকে। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। হঠাৎ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতের এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সে কারণে খুলনা বিভাগে দু’একদিনের মধ্যে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যেতে পারে। এখন যে মৃদু দাপদাহ চলছে তা প্রশমিত হবে। মে মাসে টানা কয়েক দফা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই